somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুলিশ, পাগল ও হুজুর

১৪ ই মে, ২০০৭ সকাল ১০:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুলিশ, পাগল ও হুজুরদের সাথে ভয়ংকর রসিকতা করা আমার একটা স্বভাবে পরিনত হয়েছে। একবার আমার ফিয়াসে ও আমি সিএনজিতে কোথাও যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে পুলিশের চেকপোস্ট। একজন গোমড়ামুখো পুলিশ এসে জিজ্ঞেস করলো, কোথায় যাচ্ছেন? আমি প্রেমিকাকে দেখিয়ে বললাম, উনি জানেন। পুলিশ তাকে জিজ্ঞেস করলো, উনি আপনার কি হয়? সে বললো, আমার কিছু হয় না!

এবার পুলিশের চেহারা বিপদ্দজনক রঙ নিল। কঠোরভাবে জিজ্ঞেস করলো, কোথায় যাচ্ছেন? প্রেমিকা জানালো, বাসায়। আমিও হালকা চালে বললাম, বাসায়! তারপরে মুখ ঘুরিয়ে উদাসভাবে রাস্তার অন্যপাশ দেখতে থাকলাম। আরেকজন পুলিশ এগিয়ে এলো ইত্যবসরে। কি যেন আলাপ করলো দুজনে। তারপরে সিএনজিওয়ালাকে যেতে বললো। সিএনজি স্ট্যার্ট নিতেই শুনলাম একজন পুলিশ আরেকজনকে বলছে, তুমুল ঝগড়া হইছে মনে হয় দুইজনের মধ্যে! তাদের কথা শুনে আমরা হেসে লুটোপুটি খাই।

একবার ফার্মগেটে গাড়ীর জন্য ওয়েট করছিলাম। এক পাগল এসে জরিয়ে ধরলো কোন কিছু বোঝার আগেই। সম্বিত ফিরে পেয়ে দেখি পাগলের সমস্ত শরীরে ছালার চট। আমি জোরে চিৎকার করে উঠলাম, হকককক মাওলা! পাগল ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। তারপরে তার গলা নামিয়ে কানে কানে বললাম, আমার নাম সালাম! পাগল কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো মুখের দিকে। আমি আবার তার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম, পুলিশ টের পেলে আমার খবর আছে! কি বুঝলো পাগল কে জানে, সে আমাকে ছেড়ে দৌড়ে চলে গেল। ইতোমধ্যে ভলবো এসে পড়েছে। আমি উঠে বসে আপনমনে হাসি।

রিকশা চড়ে প্রেম করার যুগ। ধানমন্ডি থেকে ঢাকা ইউনি, সেখান থেকে রমনার সামনের রাস্তা ধরে বেইলী রোড, কখনো রমনা গার্ডেন তারপরে আবার ধানমন্ডি এই হচ্ছে নিত্যদিনের রোজনামচা। নতুন চুমু দেয়া শিখেছি। দুজনই মহাআনন্দে চুমু খাই। গাল ছেড়ে সবেমাত্র ঠোটে উঠেছি। কাকরাইল মসজিদের সামনে অনেক হুজুরের আনাগোনা। আমরা যখন সে মসজিদের সামনে দিয়ে যেতাম তখন হুজুরদের দেখিয়ে দুজন চুমু খেতাম। উঠতি তাবলীগাররা দেখতাম হা করে আমাদের দেখতো। একদিন পেছন দিক থেকে একজনকে বলতে শুনলাম, ভাই আমরা এদিক সেদিক না দেখি!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০০৭ সকাল ১০:২৭
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×