somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটা কঠিন প্রশ্ন - সহজ সমাধান!

১৩ ই মে, ২০০৭ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যখন প্রথম ব্লগে প্রথম তাসনীম খলিলের আটকের খবর আসে তখনও উনা কর্মকান্ড সম্পর্কে তেমন ভালভাবে জানতাম না। ধীরে ধীরে সহব্লগারদের কাছ থেকে জানতে লাগলাম। জানলাম ইকো-পার্ক এবং চালেশ রিসিল হত্যার বিষয়ে গনসচেতনতা সৃষ্টির কারনেই তাকে আটক করা হয়েছে। এটা ভয়াবহ। একটা অন্যায়কে চাপা দেওয়ার জন্যে এটা আরো একটা বড় অন্যায়। সুতরাং প্রতিবাদের মিছিলে একজন হয়ে আমার মতো একজন ব্লগারে দূর্বল কন্ঠকে প্রতিবাদের সাথে মিলালাম।

সেই ব্লগে আমি লিখেছিলাম - “কোন যুক্তিতেই একজন মানুষকে বন্দী করা যায় না”।

এই বাক্যটা কমপক্ষে একজনের পছন্দ হয়নি - উনি হলে জাতীয়তাবাদী এহহামিদা। পাল্টা প্রশ্ন করলেন - “কোন যুক্তিতেই একজন মানুষকে বন্দী করা যায় না। এইটাকি সবার বেলায় প্রযোজ্য!!!!!!”।

উত্তরটা তখনই দেওয়া যেত - “অবশ্যই। তবে লক্ষ্য রাখবেন - যার কথা বলছেন সে যদিও বাহ্যিক দিক দিয়ে দেখতে মানুষের মতো - কিন্তু মানুষ হওয়ার জন্য যে বিশেষ একটা বৈশিষ্ঠ্য থাকার কথা - যাকে সার্বিক ভাবে মনুষ্যত্ব হিসাবে বলা হয় -- সেটার অস্তিত্ব আছে কিনা? বা কতটুকু অবশিষ্ট আছে?”

একজন মানুষ যখন অন্য একজন মানুষ অন্যায় ভাবে নিহত হওয়ার প্রতিবাদ করে সে তার মনুষ্যত্বের মাত্রাটাকে একটা বিশেষ উচ্চতায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে একজন মায়ের প্রধানমন্ত্রীত্বের প্রভাব খাটিয়ে যখন চাঁদাবাজী করে এবং অবৈধ সম্পদের মালিক হয় - তখন সে তার মনুষ্যত্বকে বর্জণ করে। নূন্যতম মনুষ্যত্ব অবশিষ্ট কোন অন্যায় করা সম্ভব নয়।

সাধারন ভাবে চোর-ডাকাত-খুনী-দূর্নীতিবাজ বা সার্বিক ভাবে যারা সাধারন মানুষের সংজ্ঞার সীমা অতিক্রম করে নীচে চলে যায় - তখন রাষ্ট ব্যবস্থা তাদের হয় পরপারে পাঠিয়ে সমাজকে তার প্রভাবমুক্ত করে বা জেলে পাঠিয়ে জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় ভরনপোষন দিয়ে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে।

এখানেই আমাদের বুঝার সুযোগ হলো - মানুষ বলতে সাধারন মানুষকেই বুঝায় যারা মনুষ্যত্বকে ধারন করে। যেটা তাসনীম খলিলের কার্যকলাপে প্রতিভাত হয়েছে। অন্যদিকে যারা হতদরিদ্র থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে জনগনের সম্পদ লুটপাট করেছে - নিজে দূর্নীতি করেছে বা দূর্নীতি করার সুযোগ দিয়েছে - এদের সাধারন দৃষ্টিতে মানুষের সংজ্ঞায় ফেলা যায় না। এদের জন্যে রাষ্ট্রীয় আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজকে মানুষের বসবাসের জন্য সবসময় কাজ করতে হয়।

একটা মজার বিষয় লক্ষ্য করলাম - যখন প্রথম পোষ্টটা এলো খলিল আটক - তখন দেখলাম এহহামিদাই বেশী সক্রিয় হয়ে বিশেষ কিছু দৈনিকে কেন খবরটা গেল না - তা নিয়ে একটা হৈচৈ বাধাচ্ছেন। মনে হচ্ছিল - তাসনীমের আটকে দিশে হারা উনি। এই নিয়ে সুশীল সমাজকে এক হাত নিতে সুযোগ ছাড়লেন না। পরে খবর আসলো একটা পত্রিকার সম্পাদক খলিলের মুক্তির বিষয়ে সক্রিয় ছিলেন।এবার এহহামিতা ১৮০ ডিগ্রী টার্ন নিলেন। এবারও সুশীল সমাজকে একহাত নিলেন - ওর মুক্তির বিষয়ে একটা থিসিস লিখার চেষ্টা করলেন। মজার বিষয় হলো - আটকের খবর না ছাপানোর জন্য যাদের সমালোচনা করে রাতে ঘুমাতে গেলেন - সকালে উঠে মুক্তির বিষয়ে সক্রিয়তার জন্য আবার তাদেরই সমালোচনা করলেন!

অবাক হলাম ভেবে - উনি আসলে চান কি? একটাই উদ্দেশ্য হলো একটা পত্রিকা বা একদল মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলাই এর কাজ। বিশেষ করে একটা দলের পক্ষে এতোই অন্ধ যে উনি উনার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন যখন দেখেন এই সরকারের বা সমর্থকদের বিপক্ষে কোন সমালোচনার সুযোগ পাওয়া যায়।

যখন ব্লগিং শুরু করি - তখন কিছু কিছু শব্দ যেমন - ছাগু, আবাল ইত্যাদিতে কেমন অসস্তি লাগতো। কারন হয়তো অনভ্যাসে বিদ্যানাশ। ধীরে ধীরে বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে এবং মনে হচ্ছে যেখানে অভিধান ব্যর্থ সেখানে জনশ্রুততাই শ্রেষ্ট পথ। যেমন “আবাল” শব্দটা প্রথম দিকে আমাকে বেশ বিভ্রান্ত করেছে। আবাল বলে যা চিনতাম তা হলো ষাড় গরুর বিশেষ অংগকে যখন নিষ্টুর পন্থায় ফেলে দেওয়া হয় - তখন ষাড় তার তেজ এবং স্বাধীনতা চিন্তার উপাদানটা হারায়। সাথে সাথে প্রজন্ম তৈরীর ক্ষমতা হারায়। যদিও আবাল মানুষের উপকারে লাগে তথাপি সৃষ্টির সম্ভাবনাহীন পরাধীন মানষিকতার জন্যে “আবাল” দের মানুষ করুনা করে।

মনুষ্য সমাজেও এই ধরনের প্রজাতি দেখা যায়। যারা একটা দল বা মতের প্রতি এতোই বেশী নতজানু থাকে যযে নিজের স্বাধীন অস্তিত্ব এরা ভুলে যায়। এরা যদিও সেই দলের বা মতের জন্যে একটা উপকারী উপাদান বলে বিবেচিত হয় - তথাপী তাদের সংকীর্ন চিন্তা এবং ভাংগা রেকর্ডের মতো একই কথা বলার জন্য মানুষ করুনা করে এবং এই ব্লগে তাদের “আবাল” হিসাবে কেহ কেহ অবিহিত করেন।

এহহামিদা, আপনি আপনার ব্লগের জন্য কি সেই শ্রেনী ভুক্তি হয়ে যাচ্ছেন কিনা ভেবে দেখবেন?

বিশেষ দ্রষ্টব্য - আরও কিছু ব্লগার তাসনীম খলিলের মুক্তিতে কষ্ট পেয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। এই কথা সত্য যে - আবালের মনুষ্য সংষ্কারন তো আর বাহ্যিক অবয়ব দেখে বুঝা যায় না - সেটা তাদের বক্তব্যই চিনিয়ে দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০০৭ রাত ১০:২৫
৪১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×