somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদিনের ট্যুর - মহাস্থানগড়

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১০:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৬মার্চের ছুটিটা কাজে লাগানোর ধান্দা ছিল কয়েকদিন আগ থেকেই। সেই অনুযায়ি পরিকল্পনা করা হলো। আমাদের টার্গেট ছিল ঐ দিন বগুড়া, মহাস্থানগড় সহ আরো যত ঘুরাঘুরি করা যায় করবো। ভোর ৬ টার সময় আমরা জায়গামত হাজির হয়ে গেলাম। কয়েকজন লেট করবে এটাই স্বাভাবিক, ফাইনালি সাড়ে ছ’য় টার দিকে মাইক্রো যোগে রওনা দিলাম আমরা ১৩ বন্ধু। আর সমগ্র যাত্রাপথ ছিল আন-লিমিটেড দুষ্টামিতে ভরপুর।

বগুড়া শহরে পৌছালাম সাড়ে এগারটার দিকে। সেখান থেকে মহাস্থানগড় যেতে ১২টা বেজে গেলো। প্রায় ৫/৬ ফুট চওরা ইটের প্রাচীর দিয়ে মহাস্থানগড়ের বিশাল একটা অংশ ঘেরা আর প্রাচীরের দুরুত্ব কত কিলোমিটার তা আমার জানা নেই। বিশাল এই অংশটুকু ভুমি থেকে প্রায় ৫০/৬০ ফুট উচুতে। এর উপরিভাগ সমতল, আছে বিশাল মাঠ, ক্ষেত, গাছ, ঢিবি। রাস্তার অপর পাশে আছে মহাস্থানগড় যাদুঘর এবং গোবিন্দ ভিটা । ছোট এই যাদুঘরের ভেতরে আছে শত শত বছর (১২০০ - ১৮০০ শতক) আগের বিভিন্ন দেব-দেবী মুর্তি, স্বর্ন-রৌর্প মুদ্র, বাসন-পাত্র, শিলা লিপি, হাতিয়ার, নক্সা করা ইট ইত্যাদি আর বাইরে আছে কামান, ১৮ শতকের তোরন।

এ অংশটুকু দেখার পর রওনা দিলাম ’গোকুল’ নামক জায়গায় বেহুলার বাসর দেখতে। মহাস্থানগড় থেকে মাইক্রো দিয়ে যেতে প্রায় আধ ঘন্টা লাগলো। ’বেহুলার বাসর’ দেখতে ছোট-খাট গোলাকার পাহাড়ের মত। স্থানীয় লোকেরা আঙ্গুল দিয়ে দেখালো ঐটা বেহুলার থাকার ঘর, এইটা রান্না ঘর, এইটা খাওয়ার ঘর (!!)। ’বেহুলার বাসর’ এর উচ্চতা হবে প্রায় ৬/৭ তলা বিল্ডিং এর সমান। এখান থেকে পুরো এলাকার বিশাল একটা অংশ দেখা যায়।

ভ্রমন স্মৃতি ঃ ২৬ মার্চ ২০০৭ইং, সোমবার।
১৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×