somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জ্যামমুক্ত নগরীর জন্য পরিবেশবান্ধব সাইক্লিং উৎসাহিত করা উচিত

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরিবেশ বান্ধব সাইক্লিং হতে পারে ঢাকাবাসীদের জ্যাম থেকে মুক্তির একটা চমৎকার উপায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইক্লিংকে উৎসাহিত করা হয়। যে হারে সড়কের উপরে যানহবাহনের চাপ বাড়ছে সেমাত্রায় সড়ক সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। এমন অসুবিধার মুখোমুখি হয়ে ইউরোপ, সাউথ-ইস্ট এশিয়া, চায়নাতে ট্যুরিস্টসহ অফিসমূখী মানুষের জন্য সাইক্লিংকে বেছে নেয়ার জন্য সরকারী ও বেসরকারী প্রচারণাও বেশ সরগরম। এতে কেবল সড়কের উপরে যানবাহনের চাপ হ্রাস পাচ্ছে না, সেই সাথে পরিবেশ দুষণ কমছে, সাইকেলআরোহীর ফিজিক্যাল এক্সারসাইজও হয়ে যাচ্ছে।

উন্নত বিশ্বও যখন অব্যহতগতিতে বেড়ে যাওয়া যানবাহন ও সড়কের ইক্যুয়েশন মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন ঢাকার কথা তো বলাই বাহূল্য। বিগত এক দশকে যে হারে যানবাহন বেড়েছে সে তুলনায় সড়ক সম্প্রসারণ আশ্চর্যজনকভাবে অপ্রতুল। ঢাকার প্রধান কমার্শিয়াল এলাকাগুলোর মধ্যে দূরত্ব অনুল্লেখ্য হলেও জ্যামের কারণে ২০ মিনিটের মতিঝিল থেকে ধানমন্ডীর দূরত্ব পিক আওয়ারে দুই ঘন্টার পথ হয়ে যায়। বনানী, গুলশান থেকে মতিঝিল পাড়ী দিতে অন্য একটা শহরে যাত্রার মত প্রস্তুতি নিতে হয়। অথচ জ্যাম না থাকলে ২০/৩০ মিনিটের পথ।

বিশ্বের মেগাসিটিগুলোতে সাইক্লিং এর হার কেমন তার কোন তথ্য আছে কিনা জানি না, তবে ঢাকা যে সে লিস্টে একদম শেষের দিকে থাকবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। একটু খেয়াল করলে দেখবেন ঢাকাতে সাইকেল যাত্রী মাত্র হাতে গোনা। গতকাল আমি সারাদিন ঢাকার রাস্তায় মাত্র ৭ জন সাইকেল আরোহীর দেখা পেয়েছি। অথচ হাজার হাজার মানুষ ফার্মগেট থেকে শাহবাগ যাচ্ছে বাসে চড়ে, ৩০ মিনিট অপচয় করে। মহাখালী থেকে গুলশান যাচ্ছে তদ্রুপ সময় ব্যয় করে। একটা সময় ছাত্ররা সাইক্লিং করতো, আশংকাজনকভাবে এখন সেটাও কমে গেছে পারিবারিকভাবে নিরুৎসাহিত করার জন্য।

অচিরেই সরকারী ও বেসরকারী এমন কিছু উদ্যোগ নেয়া উচিত সাইক্লিং উৎসাহিত করার জন্য। প্রয়োজনে এজন্য রাস্তা সংস্কার করে সাইকেলের জন্য আলাদা লেন করা যেতে পারে। পরিবেশ বান্ধব সাইকেল আমাদের ফিরিয়ে দিতে পারে একটা জ্যামমুক্ত নগরী।
১৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×