অবশেষে দেখা হয় তাদের ধূলিময় কোন সময়ে। সেদিন ছিলনা আকাশে চাঁদ, ফুল বা পাখির গান। শেষ বিকেলের কুসুম সূয্যের আলোয় মিশে পথিক মৃদু হেসে বলে,
: আসলাম!
: এতদিন পরে?
: কি করবো, গোলকধাঁধায় ছিলাম
: তোমার কিছু মনে থাকে?
: তাইতো
: আমার কথাও মনে থাকেনা
: হ্যাঁ-তো
নদী ঝাপিয়ে পড়ে ছেলেটার বুকে। বুকে কিল ঘুসি মারতে মারতে বলে,
: তুমি শয়তান, শয়তান, কষ্ট দাও শুধু
: দেবইতো , ছেলেটা স্বার্থক ভালোবাসাটাকে জটিল করে তোলার চেষ্টা চালায়,
: উহু ককখণো দিবা না আর, নদীর বিভ্রমে ভরা আহলাদ, পথিক কিছু বলার মত ভাষা খুঁজে পায় না, টুকরো ঝড়ের মতন নদী ওর হাত ধরে বলে,
: চলো
: কোথায়?
: আসোইনা. . .
তারপর নদী তারে নিয়ে গেলো মন্দিরে, নিয়ে গেল গির্জায়, নিয়ে গেল মাজারে, ছেলেটা তারে কৌতুক চোখে কিছু সুধাবার আগেই সে মৃদু আহলাদি স্বরে বলে,
: উহু. . . আমি বিশ্বাস করি, তুমি ঘর বিশ্বাস করলে ধর্মেও বিশ্বাস করবা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৭ দুপুর ১:৩৬