আমার ভার্সিটির নিউজ প্রতিটি জাতীয় দৈনিকের হেডলাইন!
গোটা দেশ আজ আমাদের নিয়ে ভাবছে। গর্বে বুকটা ফেটে যাচ্ছে!(?)
আমার ভার্সিটি আজ ১৭ বছর পর অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ!
হরতাল-অবরোধ যেখানে বাকৃবি কে এক সেকেন্ড থামাতে পারেনি সেখানে কিনা একটা ৯ বছরের বাচ্চা বাকৃবির চাকা অনির্দিষ্ট কালের জন্য থামিয়ে দিল! স্যালুট তোকে!
আচ্ছা বাচ্চাটা মরল কেন???
হায়াৎ শেষ তাই মরেছে!
তাই হয়ত হবে! খামোখা ছাত্রলীগ কে এর মধ্যে জড়িয়ে লাভ কি?
দোষ তো ছাত্রলীগের না।
হাতে পিস্তল আছে, গুলি তো হবেই! রাব্বি মারা যাওয়ার আগের রাতেও তো গুলি হয়েছে! কই কেউ তো কিছু বলেনি! সব দোষ প্রশাসনের! ক্যাম্পাসে গুলি হচ্ছে এটা প্রশাসন দেখবে না? (!)
আচ্ছা গুলিটা হল কেন???
যে গুলি করেছে সেই এটা ভালো জানে!
তবে কোন যেন পেপারে দেখলাম টেন্ডার,নিয়োগ,অ্যালুমনাই ইত্যাদির টাকা ভাগাভাগিই নাকি গোলাগুলির প্রধান উৎস্য! এখানেও তো আমি ছাত্রলীগের কোন দোষ দেখছি না! দোষ প্রশাসনের! প্রশাসন এতগুলো টাকা দিতে পারবে আর টাকা ভাগাভাগির জন্য একটা অ্যাকাউন্টেন্ট দিতে পারবে না?(!)
আচ্ছা আমি হল ছাড়লাম কেন???
কারণ প্রশাসন আমাকে হল ছাড়তে বলেছে! কেন?
ধুর! এতকিছু বলতে পারব না! ওরা আমাদের হলে আক্রমণ করেছিল। বৃষ্টির মত পাথর ছুড়ছিল। দুমদাম করে ভেঙ্গে যাচ্ছিল জানালার সব কাঁচ, রুমের জিনিস-পত্র সহ আরো অনেক কিছু। আমরা দেয়াল ঘেঁষে দাড়িয়ে ছিলাম। কারো মুখে কোন কথা ছিল না। একটা চাপা ভয় কাজ করছিল। ওরা হলের গেট ভাঙার চেষ্টা করছিল আর আমরা জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম। ওরা সংখ্যায় ছিল কয়েক হাজার! আর আমরা বড়জোর ১০০! ওরা ছিল সশস্ত্র আর আমরা ছিলাম নিরস্ত্র! তারপর?
বলে কি লাভ? বলতে গেলে আবারো অনেকের ঘাড়ে দোষ চাপাতে হবে। তারচেয়ে বরং চেপে যাই। এটাই ভালো।