বাংলাদেশে ৯০ এর গনান্দোলনের মাধ্রমে গনতন্ত্রের জন্যে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল তা মোটামুটি ধ্বংশ হয়ে গেছে বিগত পনের বছরে। এর জন্য অনেকে দুই নেত্রীকে দায়ী করেন। কিন্তু আমার নিজের মত একটু ভিন্ন। অবস্থার প্রক্ষিতে একজন পিতা এবং আরেকজন স্বামীর অস্বাভাবিক তিরোধানের সুবাদে ক্ষমতার শীর্ষে চলে আসেন। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে এই দুই নেত্রী দৃশ্যপটের আসার সাথে সাথেই একদল চতুর লোক এদের ঘিরে ফেরে। ফলে রাজনীতির সাথে জড়িত অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। অন্যদিকে সুবিধাবাদী এবং চতুর লোকরা শুধু দলকেই নিজেদের মতো পরিচালিত করেননি - দেশকে কিছু কৃত্রিম ইস্যুতে বিভক্ত করে তাদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছে। এদের জন্যে আইনের শাসন বা নীতিবোধের বিসর্জিত হয়েছে ক্ষমতার রাজনীতি থেকে। এই কাজে কিছু চেনামুখকে দেখা গেছে ঘুরে ফিরে ক্ষমতার র্শীষে চলে আসতে। আমি মূলত বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার জন্যে হাই প্রোফাইলের সেই লোকদের কথাই বলছি -যারা জেনে শুনে দেশের স্বার্থের উপরে নিজের এজেন্ডাকে স্থান দিয়েছেন। এরা বাংলাদেশের কৃত্রিম বিভাজিত রাজনৈতিক বিরোধী শিবিরের শীর্ষে বসে থাকা দুই নেত্রীর সীমাবদ্ধ জ্ঞান এবং মেধাকে সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করে বাংলাদেশের গননতন্ত্রের যাত্রাকে ভুল পথে নিয়ে গেছে - যাকে এখন একটা লাইন চ্যুত ট্রেনের সাথে তুলনা করে সেনাবাহিনী নেই ট্রেনটাকে ট্যাকে ফিরানোর মহান দায়িত্ব গ্রহন করেছে। সেই সকল ক্ষমতালোভী চতুর এবং নষ্ট মানুষদের তালিকায় সবার উপরে আছেন ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ। একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি যে শিবিরেই গেছেন সেখানে সর্বোচ্চ আসনের কাছাকাছি পৌছে গেছেন। সেই সুবাদে উনার সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নিয়ে কিছু তথ্য পেয়েছি - যা পাঠকদের সাথে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করবো।
(চলবে)