অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম প্রথম ব্লগটা কি নিয়ে লিখা যায়। ব্লগ পড়ি প্রায় দুই বছর হলো। কিন্তু সাহস করে একাউন্ট খুলে উঠা হয় নি। ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা শেষে যখন অফুরন্ত অবসর তখন ও খুললাম না। একটা সময় দেরী করলে দেরীই হবে মনে করে খুলে ফেললাম একটা একাউন্ট। প্লটতো একখান কিনলাম সামুতে, মাগার প্লটে কি করুম তাই বুঝতেছিলাম না।
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আমি ইতিহাসের সাক্ষী হলাম। বিয়াল্লিশ বছর ধরে বয়ে বেড়ানো এক পাপ মোচনের ইতিহাস। নর্দমার কীট কে নর্দমার কীট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ইতিহাস। বাচ্চু রাজাকারের ফাসীর আদেশটা ভার্সিটিতে বসেই ফেবুতে দেখলাম। ক্লাশের মাঝেই মনে হচ্ছিল একটা চিৎকার দেই। তাড়াতাড়ি বাসায় আসলাম। এসেই ফেবুতে বসলাম। হোম পেজ ভর্তি বাচ্চুর খবর। আমিও মনের সুখে লাইকাইতে লাগলাম সব স্টাটাসে (বাচ্চুর ফাসী সম্পর্কিত)। ভাবতেই খুব ভালো লাগছে, ভবিষ্যতে কোনো এক সময় নাতিপুতিদের গল্প করবো আমরা রাজাকারদের ফাসী দেখা প্রজন্ম। মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তো কি হয়েছে, রাজাকারদের ফাসীতো দেখেছি!!
প্রথম ব্লগ লিখার জন্য আমার এর চেয়ে বড় আর কি উপলক্ষ্য হতে পারতো? ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকুক আমার প্রথম ব্লগটিও।