সন্ধ্যায় গেলাম লিপি ভাবিকে দেখতে। বেচারী অকাল প্রায়াত স্বাশীর শোকে মূহ্যমান। কিছুতেই বুঝতে চায় না যে তাকে অন্তত অরণ্যের জন্য বাঁচতে হবে। অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে বলা হল যেন স্বাভাবিকভাবেই অরণ্যকে দেখাশুনা করেন- স্কুলে নিয়ে যান...
10 টা নাগাদ বাসায় ফিরে ভুলে গেলাম চরম গরমের দাবদাহের কথা। বাঙলা টাইগারেররা ভুপাতিত করার ভ্যবস্থা প্রায় করে ফেলেছ স্মীথদের।
ফ্রেশ হয়ে বসে গেলাম। খেতে। খাওয়া আর অপলক 14'' মনিটরের পর্দায় চেয়ে থাকা। 1টা শট মিস গেলে কষ্ট লাগবে সারাদিনের চেয়েও বেশি।
পোড়া কপাল। বেহায়া পিডিবি এটাও কি জানে না 14 কোটি বাঙালীর আর যা-ই না থাকুক না কেন দেশপ্রেমে কোম কমতি নেই।
অন্ধকার-গরম-মশার ত্রিমূর্তির উপদ্রবে অসহ্য সীমা ছেড়ে গেল। কি আর করা মশারী টাঙগিয়ে নিদ্রার আশ্রয় নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর পেলাম না।
ঘুমুতেও পারলাম না। রাস্তায় পাড়ার ছেলেরা ব্যাটারীর সাহায্যে টিভি চালাচ্ছে। 4 ঠেকানো- গুড ফিলিডং- বোলড- রান আউটের সম্ভাবনা-এলবির আপিল হলেই স্বোল্ললাসে চিৎকার। শুয়ে শুয়ে যেীথ কমেন্ট্রি শুনে স্বচো েখেলা দেখার আনন্দ পেলাম।
অবশেষে বিজয় মিছিল। শরিক হতে মনে চাচ্ছিল। কিন্তু বেরশিক অফিস ডিউটি জোর করে ঘুমুতে বলল। 4টা নাগাদ ঘুম এল। সাত টায় উঠলাম।
কাজের চাপ না থাকলেও অফিসে বসে তো আর ঘুমানো যায় না। অবশ্য সরকারী কর্মচারীদের কথা ভিন্ন। ওঁদের কাছে বাসা-অফিস সব এক।
এর পর আবার মরার উপর খাড়ার ঘা। বস ডেকেছেন বেড়াতে যাওয়ার আমন্ত্রণে। বলেন তো এমনতর নন্দিত অত্যাচার কিভাবে সহ্য করি। রাগ-অভিমানে নাকচ করে দিলাম।
বসে বসে ঝিমুচ্ছি আর বিরক্তিভরা চোখে পাহারা দিচ্ছি বসেদের। কাজ না করে বসে থাকার অপরাধে যদিও কিছু বলবেন না তবুতো কথা থেকে যায়....
মাত্র দেড়টা বাজে। 5টা বাজতে ঢের বাকি। কোন মতে দিনটা হালাল করতে পারলে বাচি। লম্বা ঘুম দিয়ে আগে চাই কান্তি দূর। পেন্ডিং কাজ কাল এসেই....
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৪