শুরুর দিকে টিভি রুমে গিয়েছিলাম তামিমের মার দেখবো বলে। হতাশ হলাম। শেষে গেলাম আশরাফুলের ঝড় দেখতে, একটুও হতাশ হয়নি। মন ভরে দেখলাম, আর সেই সাথে লাফালাফি তো আছেই। পুরো হলের সবাই যেন টিভি রুমে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। মুহুর্মহু করতালি আর হৈ চৈ।
কিসের পড়াশুনা, কিসের কি.... পড়াশুনা শিকেয় উঠল। জপ করতে থাকলাম সাউথ আফ্রিকার যেন পটাপট কয়েকটা উইকেট পড়ে। এক্কেবারে ঠিকঠাক মতই এগুচ্ছিল। একটুবারের জন্যও মনে হয়নি বাংলাদেশ হারবে। পরের দিকে তো শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। ব্যবধান কমানোর লড়াই।
এখন সামনে থাকল আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমার তো মনে হয় এদেরকেও হারানো কোন ব্যাপার না। তাহলে সেমিফাইনালের চিন্তা বোধহয় করায় যায়। আমরা বিশ্বকাপের সেমিতে খেলব !! বিশাল স্বপ্ন। তবুও কেন জানি মনে হচ্ছে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার মত।
হোয়টমোর কি ভারতকে বাংলাদেশের থেকে শক্তিশালী দল মনে করেন? নিশ্চয়ই তিনি বড় ভুলের মধ্যে আছেন। ভারতের কোচ হবেন ঠিক আছে, তবে তার আবার বাংলাদেশের কোচ হওয়ার বাসনা জাগতে পারে যখন দেখবেন তার দল ভারত হারতেছে বাংলাদেশের কাছে, এবং এটাই তখন অতি সাধারণ ব্যাপার হবে।
ওয়েলকাম বাংলাদেশ। সামনে এগিয়ে যাও। জাতি তোমাদের প্রাণভরে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে।