চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ‘হতাশ’ হলেও জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমার ‘বিশ্বাস’, বাংলাদেশের মানুষ এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে নিতে পারবে।
Published : 20 Apr 2013, 12:20 PM
রাষ্ট্রদূতের ভাষায়, তার এই আহ্বান কূটনৈতিক রীতির বিচারে কিছুটা ‘বিচ্যুতি’ বলে মনে হতে পারে, কিন্তু সফরে আসা জাপানি ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি হরতালের কারণে ফিরে যাওয়ায় তিনি এ কথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন আয়োজিত এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে দেড় বছর আগে আমি ঢাকায় এসেছিলাম। কিন্তু গত ছয় মাসের পরিস্থিতি আমাকে হতাশ করেছে।”
যুদ্ধাপারাধের বিচার বন্ধের দাবিতে জামায়াতে ইসলামী গত নভেম্বর থেকেই সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতা চালিয়ে আসছে। তাদের প্রধান শারিক বিএনপিও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
চলতি বছরের সাড়ে চার মসে মোট ৩০ দিন হরতাল করেছে বিরোধী দল।
রাষ্ট্রদূত জানান, সনি, টয়োটাসহ বিভিন্ন জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধিসহ জাপানি ব্যবসায়ীদের একটি দল সম্প্রতি ঢাকা আসে। কিন্তু হরতালের কারণে তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামে হোটেলে বসে সময় কাটিয়েই চলে যেতে বাধ্য হন।
“বর্তমানে জাপানের যেসব প্রতিষ্ঠান এ দেশে কাজ করছে, তারাও উদ্বেগের কথা আমাকে জানিয়েছে”, বলেন রাষ্ট্রদূত।
তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সারসরি কথা বলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও শিরো সাদোশিমা জানান।
“কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলা আমাদের রীতি নয়। তবে বাংলাদেশের বন্ধু হিসাবেই আমি এখন এ কথা বলছি।”
বর্তমান অস্থিতিশীলতা দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশ আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সুযোগ হারাবে বলেও মনে করেন এই জাপানি কূটনীতিক।
তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশের এই রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে আমি আশাবাদী। বাংলাদেশ অতীতেও অনেক সংকট সফলভাবে অতিক্রম করেছে।”
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার।