জন রহিম তরুণ কবি।কিছুদিন আগে দেশের প্রথম শ্রেণীর এক দৈনিকে তার দুইটা কবিতা দিসিলেন ছাপতে। বহুদিন ছাপা হয়নাই দেখে সে আবার দৈনিকের অফিসে উকি মারে। অফিসে গিয়ে শুনে সাহিত্য সম্পাদক মশাই বাথরুমে। অনেক্ষন সে অপেক্ষা করতে থাকে। শেষে সাহিত্য সম্পাদক আলীমুদ্দি হাসান যখন আসে তখন তিনি বিদ্ধস্ত।
কবি জন রহিমরে দেইখ্যা ভুত দেখার লাহান চমকায়।
কি মিয়া আছো কেমন??
ভালা আছি জন কয়।
-তয় কবিতাটা দেখসিলেন নি? ফের কয়।
-মিয়া কবিতা লিখার আর বিষয় পেলেন না। সমকাম নিয়া কেউ কবিতা লেখে??আরে এটা হইলো নিতান্ত গোপন বিষয়।
জন কাচুমাচু করে কয়- বেরাদর আপনি নাকি এক সময় সমকামী ছিলেন।
আমি আরো শুনছি আপনে নাকি বিশ্বস্কুলে পড়ার সময় এক সমালোচকরে হোগা দিয়া নিজের বই দুইটা পাহাড় তিনটা চুড়ির সমালোচনা লেখাইছেন?
-ধুর মিয়া ।ঐ সব ভুইলা যান। পাছা বাচাইতে গেলে কিছুই হন যায়না।
এই যে এতক্ষন ধইরা বাথরুমে । আমি আর সম্পাদক হবিস উদ্দিন মিলে নতুন এক আবিস্কারের মহা পরিকল্পনা করতাছি। যে দেশের সমস্ত আমলাকুল কে আমরা কবি বানাইয়া ছাড়ুম। সন্ধ্যায় সাকুরায় মদ খাইতে খাইতে তাদের সবকডারে কবিতা বানামু। কবিতা হচ্ছে গৃহপালিত শিল্প। বুঝলা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০