পরে গেলাম তার যে বড়ভাই দেশে থাকে তার কাছে। তারে গিয়ে এক দুই দফা ঝাড়ি দিয়ে বললাম, কোন দুঃখে নিজের ছোটভাইয়ের পড়া বন্ধ করেন? উনিও মিনমিন করে বলে, অয় পড়লে তো আপত্তি নাই, তবে পড়ার খরচা তো বিদেশ থেকে আসে আর সে বন্ধ করে দিলে আমাগোর কিছু করারা নাই। আর ইস্কুলে যেই বান্দরামী করসে, এরে দিয়া পড়াশোনা হইব না। তারেও আরেকপ্রস্থ ঝাড়ি দেয়া হল। পড়াশোনা করার ফযীলত সম্পর্কিত আরেক প্রস্থ লেকচার দিয়ে চলে আসলাম।
আমি মনে মনে হিসাব করেছিলাম যে, ফার্স্ট ইয়ারে উঠে ছেলে কিছুদিন পড়েই ৭-৮ মাসের গ্যাপ দিয়েছে। এখন একাডেমিক আইন প্লাস পড়াশোনা দুইটা দিক থেকেই মুশকিল। গ্রামের কলেজ যেহেতু, স্যারদের একটু ঠিকঠাক মতন পায়ে ধরলে উনারা ভর্তি করে নেবেন। আর যেহেতু কমার্সে পড়ে, সাইন্সের মত পড়াশোনার ভয়াবহ চাপ নাই। বাংলা ইংরেজী সহ তিন চারটা সহজ সাব্জেক্টে পাশ করলেই সেকেন্ড ইয়ারে উঠে যাবে। পরে এক বছর ঠিকমতন পড়াশোনা করলে মোটামোটি উতরে যাবে। কমপক্ষে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করলে জীবনের জন্য একটা ফাউন্ডেশন হবে বলে আশা করি।
সেদিনই চলে আসতে হল ঢাকায় একটা দরকারী কাজে। আসার আগে ছোকরারে বলে আসলাম তোরে দুইটা কাজ করতে হবে। স্যারদের পা টা ধরে রাজী করাতে হবে যেন তোরে ভর্তি করে, আর খুব খিয়াল কইরা চিন্তা ভাবনা করে আমারে বলবি তোর এক ইন্টার পরীক্ষা পর্যন্ত কত খরচ লাগবে পড়াশোনা বাবদ।
পিছে জিপিএ ৪.০.১ আছে আর সামনে জিপিএ ৪.০.৩ এ শেষ হবে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪০