ক্লাস শেষ করে অবশেষে বাসায় ফিরলাম। মনে মনে ভাবছি, যাক এবার অন্তত শান্তিতে খেলাটা দেখব। কিন্তু বিধিতে যে আরো কিছু ছিল তা আগে ভাবিনি। কারণ সেই মুহুর্তে বাগড়া দিয়ে বসল আমারই পুত্র। তিনি কার্টুন নেটওয়ার্কে টম এন্ড জেরি দেখছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিরক্ত করায় তিনি একেবারে নাখোশ। দু:খের বিষয়, বাসায় টিভি একটাই। তাই তেলের ড্রাম খরচ করে তাকে মানাতে হলো! যখন খেলা দেখতে টিভির সামনে বসলাম, ততক্ষনে পনের ওভার শেষ।
যাই হোক, অস্ট্রেলিয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার আমার পরিচিত। ওদের খেলা দেখাটাও তাই আমার জন্য খুব আনন্দের। ম্যাথু হেইডেন-কে দেখলাম তার নিজস্ব ফর্মে ফিরে আসতে। তার কারণেই গিলক্রিস্টের ফর্ম না থাকটা চোখেই পড়ল না। এমনিতেই ওদের মিডল অর্ডার খুব স্ট্রং। আর অস্ট্রেলিয়ান-দের স্লেজিং এর কথা কি বলব- খেলার মাঠে এমন গালাগালি করে, যা শুনলে যে কারো মন ভেঙ্গে যাবে, তার খেলা তখন শিঁকেয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, ওদের কেউ গালি দিলে তার রিআ্যকশন হয় একেবারে উল্টো। একবার ডারহামে পেছন থেকে আমি টম মুডি-কে বলেছিলাম- ফার্মার। বলতেই সে আমার দিকে ঘাঁড় ঘুড়িয়ে তাকালো। সেই ওভারে সে করল ১৬ রান। তারপরের ওভারেও তেমনি ১৬/১৭। তারপর আবার আমার দিকে ঘাঁড় ঘুরিয়ে তাকালো। আমি দেখি আমি নাই! খেলা দেখতে দেখতে এ ঘটনা কালও মনে পড়লো।
কাল ভীষন টায়ার্ড ছিলাম। তবুও রাত আড়াইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। শেষ ১০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেশ উজ্জীবিত মনে হচ্ছিল। তারপর দেখি বিশ্বকাপের প্রথম খেলার হাইলাইটস দেখানো শুরু করেছে। একদিক থেকে ভালোই হয়েছে কাল খেলা শেষ না হয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ ফ্রেশ হয়েই মাঠে নামতে পারবে। অস্ট্রেলিয়া মনে মনে ওদের দুজনকে টার্গেট করেছে মনে হয়- ব্রায়ান লারা এবং ক্রিস গেইল। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমার সবেচেয়ে প্রিয় দল, কিন্তু আজকের জয়ের মুকুট মনে হয় অস্ট্রেলিয়াই পড়বে। আর তা দেখার জন্য আমিও অপেক্ষায়...
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০