পঁচিশে মার্চ আসলে বিষন্ন হয়ে পড়ি। খুব অতীতচারী হয়ে যাই। ছোটবেলার ঝাপসা স্মৃতি মনটাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। ভেতরের কস্টটা মোচড় দিয়ে উঠে। না, পঁচিশে মার্চের রাতের কথা নিয়ে এখন লিখব না। পরেই লিখব। কারণ, এই মুহুত্তের্্ব আমি হাতড়ে বেড়াচ্ছি বাংলা প্রতিশব্দ যা আমার কস্ট ও যন্ত্রণাকে আমার মতো প্রকাশ করতে পারবে। তাই কস্টের লেখাটা এখানে তোলার আগে একটা প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। ছোট বেলায় স্যার বলতেন, লুলা, খোঁড়া বা কানাকে তাদের নাম ধরে ডাকতে হয় না। এতে এরা খুব কস্ট পায়। কাজেই কাওকে লুলা বা কানা ডাকতে চাই না।
শুধু ছোট একটা প্রশ্ন স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামাতীরা "রাজাকার" নামেই খ্যাত। এই ঐতিহাসিক নাম তো আর পরিবর্তন করা যাবে না। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হচ্ছে যারা যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের প্রতি এখনও সহানুভূতি জোগায়, যারা অন্ধের মতো রাজাকার জামাতীদের অনুসরণ করে, মৌলবাদীদের পদলেহন করে ও তাদের পিতৃ অপরাধে কোন অপরাধ দেখে না। যারা প্রকারান্তরে এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির মধ্যে তৃপ্তি পায়। যারা পাকীদের নির্বিচার হত্যার প্রতি নির্বিকার সমর্থন জোগায় সেই সব রাজাকারদের সন্তান ও তাদের অনুসারীদের "পাকীদের অবৈধ সন্তান" নামে কি ডাকা যায়? দৈহিক সন্তান না হলেও মানসিক যে তাতো প্রমানিত। বলুন তো এসব অবৈধদের মনে কস্ট না দিয়ে কি নামে এদের ডাকি?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ রাত ২:৪৪