রাতে ব্লগে ঢুকে দেখি মান্না ভাইয়ের ইনডিয়ার জন্য দোয়া কামনার পোস্ট। আগ্রহ আমার বাড়তে শুরু করলো। মোবাইলের ব্যালান্স আমার তখনো অপরিবর্তিত। তাই এ দফায় দমানো ছাড়া আগ্রহটার কোন সৎকার করতে পারলাম না। রাতে রুমে ফিরলাম রাত 10 টার একটু পরে। সাড়ে 10 টায় মান্না ভাইয়ের ফোন। 'সুজন, চলে আসেন আমার বাসায়। এক লগে খেলা দেখি।' আমি বললাম, 'আপনি দেখছি নব্য রেজাকার। হুট করেই এমন দিনে ইনডিয়ার সাপোর্টার বনে গেলেন মিয়া?' মান্না ভাই হা হা হা মার্কা হাসি দিয়ে বললেন, 'আরে ভাই রুমে আসেন তো আগে। সব বলছি। মনে রাইখেন বট-পরোটাও আছে। তারলগে কিন্তু বিড়ি ফ্রি।' আগ্রহ দমানোর সঙ্গে ফাও ফাও বট-পরোটা আর বিড়ির নেশায় তখনই বের হলাম তার বাসার উদ্দেশ্যে। সঙ্গে আরেক ব্লগার আনিসুজ্জামান উজ্জল।
দশ মিনিটের মাথায় মান্না ভাইয়ের বাসায় হাজির। ঢুকেই বললাম, 'কন দেখি তাড়াতাড়ি কাহিনী কী?' মান্না ভাই হেসে হেসে বট-পরোটার প্লেট এগিয়ে দিয়ে কাহিনী শুরু করলেন। বললেন, 'আরে ভাই, এবার যে দলের সাপোর্ট করছি যে ম্যাচে সেই দলই হারছে। ভারত-শ্রীলংকা ম্যাচে শ্রীলংকাকে সাপোর্ট করে যদি তারা হারে তাহলে তো বাংলাদেশের বিপদ। তাই বেছে নিলাম এই কৌশল।' কথা শেষেও হাসছেন কেএস মান্না। আমি আর কী করবো বোকার মতো বট-পরোটা চিবুতে চিবুতে যোগ দিলাম তার হাসিতে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০