জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে কয়েকজন ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
Published : 14 Sep 2013, 05:49 PM
কয়েকজন ছাত্রী বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। তবে অভিযোগের মুখে থাকা প্রভাষক এ কে এম আনিসুজ্জামান তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলে অভিযোগকারী এক ছাত্রীর অভিভাবক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই শিক্ষক এখন অভিভাবকদের ফোন করে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলছেন এবং শিক্ষার্থীদের নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন।”
নিপীড়নবিরোধী সেলের সদস্য অধ্যাপক রশীদ হারুন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্তাধীন বলে বিষয়টি নিয়ে এখন কথা বলা ঠিক হবে না।”
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আনিসুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি তো এই প্রথম শুনলাম।
“বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক কিছুই ঘটে, আপনার উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই,” বলেন তিনি।
এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা দাবি করে তিনি আনিসুজ্জামান বলেন, “অভিযোগ যদি হয়েও থাকে কয়েকদিন অপেক্ষা করুন, সব জানতে পারবেন।”
ওই আন্দোলনে দাবি ওঠার পর বিভিন্ন সংগঠনের তৎপরতার প্রেক্ষাপটে হাই কোর্টের এক আদেশে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌননিপীড়নিবিরোধী সেল গঠনের আদেশ হয়।
১৯৯৮ সালের আন্দোলনের কয়েক বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে তাকে বহিষ্কার করা হয়।