না আমার কোন অনুযোগ নয় । খেলা দেখতে শুরু করলাম মাশরাফি , রাজ্জাক , রফিকরা সাবিনা পার্কে যে নাটকের ডায়লগ দেয়া শুরু করল উত্তেজনায় শিহরিত আমি এক মিনিটের জন্যেও চোখ সরাতে পারছিনা কারন কখন যে কোন সুন্দর ডায়লগটা আমি মিস করি এভাবনায় । এমনি করে শেষ হলো সৌরভ শচীন দ্রাবির বদ কাব্য ।
চোখে ঘুম নাই রাত পোহালে কাজে যেতে হবে সে কথা মনে এলে বলি কাজতো এ জীবনে কম করলাম না । এই ব্যাট বলের ঝংকার আমি কি করে মিস করি । আমাদের তামিম , শাহরিয়ার , মুসফিক , সাকিব , আফতাব , আশরাফুল , হাবিবুলদের ব্যাট ছোঁয়ে যে সুর আসবে তাকি আমি হেলায় ঠেলে দিতে পারি ?
না আমি পারিনি সে সুর থেকে দুরে থাকতে । শুরু হলো তামিম সঙ্গীত আহা কি সুর আর কথা যেন হৃদয় ছোঁয়ে যায় । সাকিব মুশফিকরা কি মায়াবি জা েল আমায় বেঁধে ফেললো সকাল ছয়টা পর্যন্ত । শেষ রানটি নিতে যখন দেরী হচ্ছিল বুঝলাম একটা চার ছয়ের জন্যই অপেক্ষা । অতঃপর তা হলো । মিষ্টি এনে রাখা হয়েছিল ভারতের ইনিংস শেষ হতেই । সবাই মিলে মিষ্টি খেয়ে আমি বেরিয়ে পরলাম । কারন ঐ যে চাকুরীর গোড়ায় পানি দিতে হবে ।
এই মাএ বাসায় ফিরলাম ব্লগে চোখ রাখলাম । লিখতে বসলাম ইতিহাস গড়া আমাদের জয়ে নিজের অবস্তা জানাতে । আবার বেরিয়ে যাচ্ছি মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমাদের সংগঠন ''বাংলাদেশ সেন্ট্রাল কমিটি সাউথ কোরিয়া ''কতৃক আয়োজিত আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজক কমিটির প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে । কখন ফিরব জানিনা আর ঘুম ?
সত্যি বলছি একটুও ক্লান্তি নাই । দেশের গৌরবে প্রবাসে বসে এর চেয়ে বেশী কিছু করার ক্ষমতা যে আমার নাই ।
শুভেচ্ছা অভিনন্দন আর ভালবাসা বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম ।
তোমাদের বীরত্বে আমরা গর্বিত , তোমাদের অভিনন্দন ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০