ভারতের স্বাধীনতার পর বড় হওয়ার স্বপ্নঅলা তরুণ গুরুকান্ত দেশাইয়ের ব্যবসা আর ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার তীব্র প্যাশন থেকেই সিনেমার শুরু। সে জানতো এটা হওয়ার নয়। কিন্তু তাকে করে দেখাতে হবে। সঙ্গে পেল স্ত্রী সুজাতা দেশাই ও সম্পাদক মানিক দাস গুপ্তের। তিল তিলি করে তার ইন্ডাস্ট্রি তিলোত্তমা হয়ে উঠলো। এর মধ্যে পারিবারিক কলহ, পরকীয় সম্পর্ক, রাজনীতি, কালোটাকার আমদানী আরও কত কী? অভিষেক শেষ দিকে একটু গডফাদার ধাঁচে এলো। ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা আর আন্ডার ওয়ালর্ড গড়ে তোলা যেন প্যারালাল ও তুলনামূলক ঘটনা, মনে হচ্ছিল দেখতে দেখতে। বিশেষ করে শিল্প আদালতে বিচারের সময় অভিষেককে গডফাদারের আল পাচিনোর কপি মনে হচ্ছিল।
ভারতের অনেক পত্রিকা লিখেছিল, গুরু সত্য কাহিনীর ভিত্তিতে নির্মিত। ব্যাপারটা আমার বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে। ধীরুভাই আম্বানীর জীবন নিয়ে তৈরি এ সিনেমা। এখানে আমি এক তরুণের প্যাশনটা বিশেষভাবে খেয়াল করলাম। আজকের ভারত দাঁড়িয়ে আছে 47 উত্তর প্রজন্মের এই প্যাশনের ভিত্তির ওপর। এর মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে। কিন্তু সঙ্গে আছে একরাশ উত্তাপও।
মণিরত্নম সম্ভবত ভবিষ্যতের ভারতের উদ্দেশ্যেই একটা মেসেজ দিতে চেয়েছেন।