শ্যাজা এসেছে কোলকাতা থেকে, কালপুরুষের বাসায় আড্ডা। 6টার সময় শুভ্রাকে আসতে বলেছি অফিসে। শরতের আসার কথা ঐ সময়ে। সে সময়গুনে এসে উপস্থিত। আমার আরো কিছুক্ষণ সময় লাগবে বলে তাকে বসিয়ে রাখলাম। ইতোমধ্যে শুভ্রার ফোন 5 মিনিটের মধ্যে আসছে। ঠিক তখনই শরৎ একটু আসি বলে বাইরে গেলো। 5 মিনিটে আমার কাজ শেষ। বেরিয়ে দাড়িয়ে আছি অফিসের সামনে। দুইজনের কোন খবর নাই। মোবাইলে পয়সা নাই। 5 মিনিট গেল নিশ্চিন্ত অপেক্ষায়, তারপরের 5 মিনিট আশংকায়। এবার মোবাইলে ক্রেডিট চালান করতেই হয়। আরো দশমিনিট গেল তাতে। তারপরেও খবর নেই। শুভ্রাকে ফোন করি, ধরে না। আশ্চর্য্য। 5 মিনিটের কথা বলে 20 মিনিটেও কোন খবর নাই। শরৎকে ফোন করি, সেও ফোন ধরে না। আবার শুভ্রাকে ফোন, ধরেনা। শরৎকে ফোন, ধরে না। 5 বার করে দুজনকে কল করে প্রত্যেকটা কলের 11টা রিং শুনে আরো গেল 5 মিনিট। আমি এবার সন্দেহের আভাস পাই। নিশ্চয়ই রাস্তার মোড়ে দুজনের দেখা হয়েছে এবং আমার অপেক্ষা করানোর যোগ্য প্রতু্যত্তর দিচ্ছে পরিকল্পনা করে।
আমি সিগারেট ধরিয়ে উৎকণ্ঠাকে বাস্পিভূত হতে দেই। আর মোবাইল চাপি। শুভ্রা ফোন ধরে বলে, এইতো দুইমিনিটের মধ্যে আসছি। এবার শরৎকে ফোন, একই উত্তর, দুইমিনিটের মধ্যে আসছি! আমার চোয়াল বেয়ে হাসি গড়িয়ে পড়ে! সালা!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০