অমৃতসার মেইল, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭.১০ এ হাওড়া থেকে ছেড়ে যাবে অমৃতসারের উদ্দেশ্যে। কলকাতা থেকে অমৃতসার- কাগজে-কলমে ৩৬ ঘন্টার পথ কিন্তু লেগে যায় ৪০-৪২ ঘন্টা। এ.সি.-৩ তে ৩৩ এবং ৩৬ দু্থটি স্লিপার আমাদের। বিশাল ভারতের বুক চিরে একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে ছুটছি আমারা পুঁ-ঝিক-ঝিক শব্দ তোলে। আগামী ২ রাত আর ১ দিন কাটাতে হবে এই ট্রেইনে। আমরা এক বগি থেকে অন্য বগিতে ঘুরাঘুরি করছি। রাতের খাবার ট্রেইনেই খেতে হল;কারণ আর কোন উপায় নেই। কোন স্টেশনে থামলেই আমরা চলে যাই দরজায়, এক পলকে দেখে নিই স্টেশনটাকে আর মনে মনে কল্পনা করে নিই শহরটাকে। এভাবে করতে করতেই বেড়ে গেল রাত্রি, ট্রেইনের বাতিও নিভিয়ে দেয়া হল, সুতরাং আমাদের ঘুমানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বালিশ-কম্বল দিয়েছে, তাই নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। ভোর পাঁচটায় উঠলাম ঘুম থেকে। উঠেই গেলাম দরজায়, ট্রেইন আস্তে আস্তে চলছে; মাত্র একটা অজানা স্টেশন থেকে ছাড়ল। সবকিছু ঠিকমতই চলছিল, কিন্তু পেটের নিম্নচাপ্টা অলরেডি সতর্ক সংকেত দিচ্ছিল আর এখন বড় কাজটা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। কি আর করা ু প্রচন্ড ঝাঁকুনির মাঝেই কোনমতে কাজটা সারলাম; যাই হোক এখন টেনশনমুক্ত। যাত্রা টাকে নতুন করে ভাবতে শুরু করলাম, নতুন স্টেশন, নতুন শহর, নতুন চিন্তা। জানালা দিয়ে চলন্ত-ভারত দেখছি। পাটনা, কাশী, এলাহাবাদ নামগুলো বার বার স্কুল জীবনে নিয়ে যাচ্ছিলো (সামাজিক বিজ্ঞান-এ পড়া)। এসব চিন্তা আর কল্পনার খেলার মাঝে টায়ার্ড হয়ে কখনো বই পড়ি আবার কখনো ঘুমিয়ে পড়ি। এভাবে সময়ও চলে যায় আর আমরাও ক্রমে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলি। দুপুরের দিকে একটা স্টেশনে থামল ট্রেইন, দরজায় দাঁড়িয়ে আযানের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। প্লাটফর্মে নেমে স্টেশনের নাম খুজছিলাম, কিন্তু সব কিছুই উর্দু আর হিন্দি তে লেখা। অবশেষে এক জায়গায় ইংরেজি লেখা খুঁজে পেলাম-LUCKNOW (লক্ষ্ণৌ)। লক্ষ্ণৌ চুক্তির কথার বইয়ে পড়েছি, আর আমি সেই জায়গায় স্বশরীরে উপস্থিত, ভাবতেই অবাক লাগছিল। আবার চলতে শুরু করে আমাদের ট্রেইন, অজানা সব স্টেশন, আবার রাত নামে ; সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল সকাল ৯.০০টায় পৌছে যাবো অমৃতসারে।
বেনাপোল থেকে ওয়াগা-04
যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে
ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন