- ভাল ।
-আপনার কি ডায়াবেটিস আছে?
-আছে।পনের বছর ধরে।
-ইনসুলিন নিতে হয়।
- ছয় বছর ধরে নিচ্ছি।
-নিয়মিত হাটেন।
- বাড়ীর আশে পাশে হাটি।
তোমার বাড়ী যেন কোথায়?
-কুমিল্লায়।নাঙ্গলকোটে।
-আচ্ছা। আমার বাড়ী চাদপুর।কুমিল্লার মানুষরা ভাল, এ রকম মানুষ হয় না।
এই জীবনে প্রথম শুনলাম, কুমিল্লার মানুষ ভাল। আমাকে অনেকেই বলেছে কুমিল্লার মানুষ ভাল না।
যাই হোক কথা চলছে...
-আমার দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়া থাকে আর ছোটজন আছে প্রশিকায়।
বড় ছেলে অষ্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিসংখ্যানে । এখন এম আইটিতে আছে।
ছোট ছেলে সিএসই থেকে পাশ করে প্রশিকার সিস্টেম অ্যানালিস্ট ছিল, এখন আইটি ম্যানেজার।
মেয়ের জামাইরাও এক একজন প্রতিষ্ঠিত। কেউ বিশ্ববিদ্ব্যালয়ের ভিসি, আবার কেউ মন্ত্রানালয়ের ডিজি ।
এবার বললেন গিয়েছিলেন পটুয়াখালী মেয়ের জামাই বাড়ী দেখতে। জামাই বাড়ী দ্বীপের মধ্যে।সেখানে সৌর চুল্লির মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপন্ন হয়। বাড়ীতে সুন্দর ফুলের বাগান।
এ রকম অনেক কথাই চলল । মন চায় আরো অনেক কথা বলি। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার খুব আগ্রহ ছিল। যেমন কেন আমরা পারছি না অন্যদের সাথে? আমাদের থেকে অন্যান্য দেশের ছেলে মেয়েরা কি মেধাবী? ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু সময় না থাকায় উঠতে হল।
তবে এখান থেকে একটা জিনিস বুঝলাম, দেশের মাথাগুলো ঘুটি কতক পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
আর শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে না বলতে পারা কথা গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব কোন এক সময়।আশা করি আপনারাও সারা দিবেন সেই আলোচনায়।
ছবিটি: ইন্টারনেট থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ১১:২৫