-কার জন্য ?
-কেন, আমার জন্য।
-কোন মডেল?
-নকিয়া ৬৬০০।
-দাম কত?
-১২,৫০০ এর মত।
-এত টাকা পাবা কোথায়।
-কেন, টিউশনি আর বৃত্তির টাকা দিয়ে হয়ে যাবে।
-চল,কোথায় যেতে চাও?
-তুমি যেটা ভাল মনে কর।
-চল, মোতালেব প্লাজায় যাই।
এভাবেই চলছিল আমাদের দুই ভাইবোনের কথা।শেষ পযর্ন্ত সিদ্ধান্ত হল আমি উত্তরা থেকে আর ও ঢাবি থেকে আসবে শাহবাগ মোড়ে। একসাথে যাব মোতালেব প্লাজায়।
কিন্তু মোতালেব প্লাজায় যেয়ে দেখলাম, এটা সাপ্তাহিক ছুটির জন্য বন্ধ।শেষ পর্যন্ত গেলাম ইস্টার্ন প্লাজায়।এই দোকান সেই দোকান ঘুরে শেষ পর্যন্ত মোবাইলটা কিনতে সক্ষম হলাম।
দুইজনের মন খুশি খুশি । অনেক যাচাই বাছাই করে বার হাজার নয়শত টাকা দিয়ে মোবাইল কিনলাম।৫১২ মেমরী কার্ড, বুলুটুথও এ দামের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।এ রকম করে আর কেউ মনে হয় মোবাইল কিনে না।
আর আজকের পিকনিকে মোবাইলটা নিতে পারবে বলে তার মন আরো উৎফুল্ল ।
কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। বাসায় আসার পর দেখলাম মেমরী কার্ড ঠিকভাবে কাজ করছে না।
সেই উত্তরা থেকে আবার সেই ইস্টার্ন প্লাজায় যাওয়া, মন টাই খারাপ হয়ে গেল।
যাই হোক চেষ্টা করে দেখি উত্তরা নিয়ে কিছু করতে পারি কিনা।
স্বাভাবিকভাবে মোবাইলটা তখন আমার পকেটে।জীবনে কখনো এত দামী মোবাইল ইয়ুজ করিনি।
আমার মোবাইলটা হচ্ছে সিমেন্স এ৫০। বুঝতেই পারছেন। আমি মোবাইলটাকে নিয়ে যাচ্ছি
কতটা সাবধানে।
কিন্তু উত্তরা গিয়ে দেখলাম, মার্কেটে কারেন্ট নাই। রিংটোন,গান ডাউন লোড করব কিভাবে?তারপরও আশা না ছেড়ে
দোকান খুজতে লাগলাম, আগামীকাল বোনকে মোবাইলটা দিয়ে পিকনিকে পাঠাব বলে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত দোকান পেলেও দোকানদার বলল, মেমরী কার্ড নষ্ট । মনটাই খারাপ হয়ে গেল ।
আজকে বোনকে মোবাইল ছাড়াই পিকনিকে পাঠালাম।মনটা খুব খারাপ। আজকে যাব আবার সেই ইস্টার্ন প্লাজায়।
জানি না দোকানদার কি বলবে।
এত টাকা দিয়ে মোবাইল কিনে ব্যবহার করতে না পারার দু:খ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনারা দোয়া করেন
যাতে মেমরী কার্ডটা পাল্টিয়ে দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০