somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঢাবি সমাবর্তনে ড. ইউনূসকে আনা নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ বিপরীত অবস্থানে

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ৩:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 43তম সমাবর্তন নিয়ে আবারো অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-শিক্ষকদের বর্জনের ঘোষণা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কতর্ৃপক্ষ এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এখনো অনড়। এই সমাবর্তনে ড. ইউনূসকে প্রধান বক্তা করা এবং তাকে 'ডক্টর অব লজ' ডিগ্রি দেওয়া নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিপরীতমুখী অবস্থান নেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত 18 ফেব্রচ্ছারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ড. ইউনূসকে সমাবর্তনে আনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। কিন' এরপরও উপাচার্য ড. ইউনূসকে নিয়ে সমাবর্তন করার ব্যাপারে অনড় থাকেন। আগামী 28 ফেব্রচ্ছারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই সমাবর্তন হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, সাধারণ ছাত্র/ছাত্রী, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে গঠিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, ছাত্রদল এবং অধিকাংশ শিক্ষক এখন ড. ইউনূসকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে না আনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এই সমাবর্তন গত বছর 24 ডিসেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তখন বিশ্ববিদ্যালয় কতর্ৃপক্ষ তা স্থগিত করতে বাধ্য হন। তবে সেবার সবাই ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক 'ডক্টর অব লজ' ডিগ্রি দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। কিন' বর্তমানে তিনি নানাভাবে বিতর্কিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতর্ৃপক্ষের তাকে সমাবর্তনে না আনাই ভালো হবে বলে ছাত্র-শিক্ষকরা মনে করেন।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার শহীদ আসাদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান ড. ইউনূসকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 43তম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা না করার আহ্বান জানিয়েছেন। সভায় বক্তারা বলেন, অতীতে সকল সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে এমন ব্যক্তিরা বক্তব্য রেখেছেন যারা দেশের সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য, সম্মানিত ও দলনিরপেক্ষ ছিলেন। কিন' ড. ইউনূস রাজনৈতিক দল গঠন করে নিজেই নিজেকে সমাবর্তন বক্তা হওয়ার অযোগ্য প্রমাণ করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি দেশের সৎ, নীতিবান, আদর্শবাদী ও সংগ্রামী ত্যাগী হাজার হাজার নেতাকমর্ীর বির"দ্ধে কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য প্রদান করে বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন।
বক্তারা বলেন, ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামের অসহায় ও দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জের নামে শতকরা 36 ভাগ সুদ আদায় এবং গ্রামীণফোন দেশের গ্রামের মানুষের কাছে ফোন পেঁৗছে দেওয়ার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। অমর একুশে ফেব্রচ্ছারিতে দেশের আপামর জনসাধারণ যখন শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তখন তিনি সেখানে না গিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, তিনি ভাষা আন্দোলনের বিরোধী। বক্তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ড. ইউনূসের উপস্থিতি কোনোভাবেই মেনে নেবেন না বলে ঘোষণা করেন। সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক ও ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিষদের নেতা শরিফুল কবির স্বপন, আলী হাসান তর"ণ, সাজ্জাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম সুজন, মুক্তার হোসেন নাহিদ, জাকিনুর রহমান পিকুল প্রমুখ।
জানা গেছে, ছাত্রদলও সমাবর্তনে ড. ইউনূসকে সমাবর্তন বক্তা না করার পক্ষে। এ সম্পর্কে ছাত্রদল ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, গত 24 ডিসেম্বরের সমাবর্তন এবং বর্তমান সমাবর্তনের মধ্যে অনেক পার্থক্য। ড. ইউনূস নোবেল পাওয়ায় আমরাও খুশি হয়েছিলাম। কিন' বর্তমানে তিনি নিজেই দল গঠন করার মধ্য দিয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দিতে পারে না, ছাত্রদলও তাকে ডিগ্রি দেওয়া সমর্থন করবে না।
জানা গেছে, ছাত্র-শিক্ষকদের মতের বির"দ্ধে গিয়ে যদি বিশ্ববিদ্যালয় কতর্ৃপক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী 43তম সমাবর্তনে ড. ইউনূসকে আনেন তাহলে সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষাথর্ীদের একটা বিরাট অংশ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে আসতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষাথর্ীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের এই অবস্থানে ড. ইউনূসের উচিত সমাবর্তনে না আসার ঘোষণা দেওয়া।

(ভোরের কাগজ)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×