তিন মেলিটারী বন্ধু মিলে হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছিল
1ম বন্ধু ঃ দোস্ত এই কলার চুকলাটা যদি আমি এখান থেকে নীচে ফালাই তাহলে কি হইব তা দেখতে পারলে যে কি মজা লাগত। এই বলে কলার চুকলাটা নীচে ফেলে দিল।
2য় বন্ধু ঃ আমার হাতে এই যে পাথরের টুকরাটা দেখতাছস এইডাও যদি আমি নীচে ফালাই তাহলে যে কি হইব তাও দেখবার পারুম না। দেখতে পারলে অনেক মজা হইত।
3য় বন্ধু ঃ তোগো ডা ত দেখা গেল না ফেললি ত ঠিকই। দেখ এখন আমি কি করতাছি, এই যে দেখ এই হ্যান্ড গ্রেনেড টা যদি আমি পিন খুলে ফালাই তাহলে দেখা যাইব কি হইতাছে। বলে নীচে ফেলে দিল কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে কিছুই দেখা গেল না।
তিন বন্ধু সিদ্ধান্ত নিল নেমে গিয়ে এলাকা ঘুরে দেখে আসবে কি ঘটনা ঘটল।
সব বন্ধু ঃ হাটতে হাটতে দেখে যে একটি ছোট মেয়ে কাদছে, কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল যে, মা তোমার কি হয়েছে, ছোট মেয়েটি বলল কোত্থেকে যে একটি কলার ছিলকা এসে আমার পায়ের নীচে পরল আমি জানিনা, স্লিপ কেটে পড়ে ব্যথা পেয়েছি। মেলিটারী বন্ধুরা বুঝতে পেরে চলে আসল, আর একজন আরেকজনকে বলতে লাগল দেখছস, কইসি লামনা মজা হইব। তারপর আবার হাটতে লাগল এবং দেখতে পেল একটি ছেলে মাথায় হাত দিয়ে কাদছে, জিজ্ঞেস করাতেই ছেলেটি বলল কোত্থেকে যে একটি পাথর এসে আমার মাথা ফাটিয়ে দিল। কাউকেই ত দেখছি না। বন্ধুরা ব্যপারটা বুঝতে পেরে চলে আসল, আর হাসতে থাকল। এখন বলল চল গিয়ে দেখি গ্রেনেডের কি অবস্থা। কিছু দুর যেতেই দেখে যে, এক বৃদ্ধ মহিলা হাসতে হাসতে দোড়াতে দোড়াতে আসছে, তখন সব বন্ধুরা মিলে জিজ্ঞেস করল দাদী কি হয়েছে,
দাদী বলল ঃ আর বলিস না, যেই না আমি একটি পাদ দিলাম অমনিতেই আমার ঘরটি ব্রাষ্ট হয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০