somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি নিজেও বুঝিনি !!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ রাত ৩:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অফিস শেষে বাসায় ফিরছি। বাস স্টান্ডে বসে'র (ম্যাডাম) সাথে দেখা। তিনিও বাসায় ফিরবেন, বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমাকে পেয়ে বললেন এক সাথে যাওয়ার জন্য। বসের কথা তো আর অমান্য করা যায়না, বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। বাসে প্রচুর ভিড় থাকায় ্লতিনিও যেমন উঠতে পারছিলেননা তেমনি আমিও তাকে রেখে আলাদাভাবে যেতেও পারছিনা। অনেক সময় পার হয়ে গেলে বাসে উঠতে না পারায় তিনি বললেন কারওয়ান বাজার থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন, এক্ষেত্রেও আমি নীরব, হাঁটা শুরু হল সাথে শুরু হল গল্প। এ বিষয় সে বিষয় বিবিধ বিষয় ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাল শ্রোতা হিসাবে অফিসে আমার একটি গূণ আছে। এক্ষেত্রে সেটাই করলাম। শুধু শুনে গেলাম কিছু বললামনা। হাঁটতে হাঁটতে ফার্মগেইটের সিজান পয়েন্টের সামনে পর্যন্ত চলে গেলাম। সেখানেও বাসে তেমন কোন সুবিধা করতে না পারায় তিনি রিঙ্া করে সংসদ ভবন পর্যন্ত যাওয়ার জন্য বললেন। আমি তো বরাবরই নিরুপায়, যেহেতু সে বলছে সেহেতু আর না করলাম না। রিঙ্া করে যাচ্ছি এবারও শুরু হল তার কথা। বলে রাখা ভাল তিনি বিবাহিত কিন্ত এখন আলাদা মানে তার স্বামীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। যাই হোকা রিঙ্ায় যেতে যেতে এক পর্যায়ে শুরু হল তার এককীত্ব জীবনকে নিয়ে কথা। আমি বুঝতে পারছিলাম না তিনি কেন এসব আমার সাথে বলছেন। তারপরও শুনতে হবে তাই শুনছিলাম আর মাঝে মাঝে হ্যা, হূ, হ্যা করে যাচ্ছিলাম। এক সময় সংসদ ভবনের সামনে রিঙ্া থেকে নামলাম, রিঙ্ার ভাড়া দিতে চাইলে তিনি না করে নিজেই ভাড়া দিলেন। তারপর কিছুক্ষন সেখানে বসলাম তার জীবনের গল্প চলছিল তখনও। একাকী জীবন, স্বাধীনতা চেয়েছিল জীবনে তাই বনিবনা হয়নি, বন্ধুবান্ধব ছিল অনেক, শ্বশুর, শ্বাশুরী মেনে নেয়নি বিয়ের প্রথম দিন থেকে, তাই তাদের থেকে স্বাামীকে নিয়ে আলাদা থাকত। তারপরও স্থায়ীত্ব হয়নি।এখন একা থাকে, চাকরীটা সে জন্য নেয়া, নিজে কোনরকম বেঁেচ থাকা, স্বাামী বেচারও তাকে মারধর করত, মানসিক নির্যাতনও করত। এছাড়াও অনেক কথা, সেগুলো আর লিখলাম না। এ কথা গুলো যখন বলছিল ততক্ষনে তার চোখে জল এসে গেছে।
শেষের কথাটুকু বেশ ভালভাবে খেয়াল করলাম, সে বলছিল, তার বলার ভঙ্গিমাটা এমন ছিল " তোমাকে যে কেন আমি আমার জীবনের এত কথা বললাম আমি নিজেও বুঝতে পারছিনা"
আমি নিজেও বুঝিনি সে যে কেন এত কথা আমাকে বলল !!!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×