somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পতাকার প্রচলন

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কবে থেকে পতাকার প্রচলন হলো সে তথ্য সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে এটা ঠিক যে, লড়াইয়ের ময়দানে সৈন্যবাহিনীর নিজেদের প্রয়োজনে পতাকা প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। ফৌজকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় জমায়েত করার জন্যে জায়গাটা নির্বাচন করে সেখানে একটা লাঠির মাথায় এক টুকরো রঙিন কাপড় বেঁধে সেটাকে পুঁতে দেয়া হতো। আর তাই দেখে নিজ নিজ দলের ফৌজরা একত্রিত হতো।
ঝাণ্ডার এরকম ব্যবহার প্রথম পাওয়া যায় সেকালের আসিরীয় আর পারসিকদের মধ্যে। মধ্যযুগে পতাকার ব্যবহার প্রায় নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কাপড় দিয়ে তৈরি ঝাণ্ডা প্রথম ব্যবহৃত হয় রোম সাম্রাজ্যে, তারা ব্যবহার করতো আয়তাকার বস্ত্রখণ্ড বর্শার ডগায় বেঁধে।
পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো জাতীয় পতাকা যায় ১২১৮ সালে ডেনমার্কে আর ১৩৩৯ সালে সুইজারল্যান্ডে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পতাকা বেছে নেয়ার পর অন্যত্রও এর প্রচলন শুরু হয়। ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের পর সেই দেশের অধিবাসীরা সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা প্রতীক চিহ্ন সম্বলিত পতাকার ব্যবহার আরম্ভ করে। ১৮০৫ সালে ইতালীয়দের নিজস্ব পতাকা দেখা দিল। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ক্রমে ক্রমে ইউরোপের সব দেশেই পতাকার উদ্ভব হয়েছিল। আমেরিকার ইন্ডিয়ানা রাজ্যে ২২ মার্চ, ১০৮০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পতাকা ওড়ানো হয়, যার আকার ছিল লম্বায় ১২৫ মিটার বা ৪১১ ফুট, চওড়ায় ৬৪ মিটার বা ২১০ ফুট আর ওজন ছিল ৭ টন।
আর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাস তো তোমাদের জানাই আছ্।ে সবুজ আয়তেেত্রর মধ্যে লাল বৃত্ত। সবুজ রঙ বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, বৃত্তের লাল রঙ উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারিভাবে গৃহীত হয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত পতাকার উপর ভিত্তি করে এই পতাকা নির্ধারণ করা হয়, তখন মধ্যের লাল বৃত্তে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল, পরবর্তীতে পতাকাকে সহজ করতেই মানচিত্রটি বাদ দেয়া হয়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×