আমাদের উভয়ের জন্য সুসংবাদ এই যে, আমরা পরস্পরের ভ্রাতা ও ভগি্ন নই। কার্যত কোনো ভাইই তোমাদের বোন রূপে গ্রহণ করবার জন্য প্রস্তুত নয়। তোমরা কাম জাগ্রত করো।
তোমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, যে সুন্দরীরা মিশরের নগরপথে স্তন উম্মুক্ত করে বসে থাকতো_ তাদের কিসমিস বাগানেও মাছির উপদ্রব হয়েছিল। পুরাণে এমন নগরের উল্ল্লেখও আছে যেখানে নারীরা তাদের বাম স্তন কখনো ঢেকে রাখেনি।
সম্রাটের মনোরঞ্জনের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল যারা_ নিজেদের ব্যাক্তিত্ব ও প্রতিভা তাদের এতোই মোহিত করে তুলেছিল যে_ তাদের ক্ষুদ্রতাকে কুয়াশার আবরণ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হতো। এতোই ছিল তাদের রূপের গর্ব_ তারা যখন অনুগত ভঙ্গিতে সম্রাটকে কুর্নিশ করতো তখনও রানীদের খাসকামরার কাঁচ কেঁপে-কেঁপে উঠতো_ মুহূর্তেই রাজকন্যাদের প্রতিবিম্ব এঁকেবেঁকে যেত।
এখন তোমরাই সেইসব নারীদের নাম বলো, কেননা তা সম্ভব নয়_ নামের প্রসঙ্গে তোমরা যা উচ্চারণ করবে তা হলো_ পৃথিবীর সমস্ত নর্তকীর সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাস।
আমি রূপমুগ্ধ। আমরা যেন পরস্পরকে অভিশাপ না দেই। কেননা তোমার রূপ ও আমার মুগ্ধতা কেউ কারো জন্য নয়। বিশ্বাস না হলে সম্রাটের টাকশালের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞেস করো।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সকাল ৮:০৪