আলু ভর্তা, মুরগীর মাংস, ডাল... খাওয়া হচ্ছে এ ক'দিন। সবচে' কঠিন মুরগীটা। এখনো খাচ্ছি। কাল দুপুরে শেষ হবে। পরশু যখন বাজার করতে গেলাম রাজিবকে জোর করে ধরে, তখন কি যে মুসিবত...। আমি দাম জানিনা একটা জিনিসেরও। মুরগী কিনতে গেলাম। দেশি মুরগীযে পার পিস বিক্রি হয় তা জানতাম না। মাঝারী একটা পছন্দ করে দাম জিজ্ঞেস করলে দোকানি বললো-
--- ১৮০ টাকা!
--- মুরগীর দাম নাকি, আপনাকে সহ?
তিনি না শুনার ভান করে মুরগী নাড়াচাড়া করছেন।
আমি বললাম- ভাই, মুরগীর দিকে না, আমার দিকে তাকিয়ে দাম বলেন। দোকানি বললেন-
--- কিযে বলেন ভাই। লাভ খুব কম।
--- দেখছেন ছাত্র মানুষ, আর আপনি চাইলেন- ১৮০? তিনি হাসলেন- বললেন-
--- যান আপনার জন্য ১৫০ টাকা।
আমি কখনো বাজার করিনি। কোথাও না। দরকষাকষি করতে খুব ইচ্ছা করলো, করলাম। শেষমেষ ১৪০ টাকায় নিলাম। দরকষাকষির সময় ভালোই লাগছিল। কপালে ফোটাফোটা ঘাম জমেছে, ভ্রু কুচকে গেছে, পাকা কাস্টমার সেজে বসেছিযে... আমি নিজেকেই মাঝে মাঝে চিনতে পারিনে। টমেটো কনতে গেলাম ৬০ টাকা কেজি ভেবে। গিয়ে দেখি হয়েছে ১৬ টাকা! দর কষাকষি করে কিনলাম ১৩ টাকায়...। আলু কিনেছি ১১টাকায়। বেশি মনে হয় ঠকিনি, প্রথম প্রথমতো ফেরার সময়... রাজিব আমার দিকে বার বার তাকাচ্ছে। আমার খুব লজ্জা লাগছিল। নিজেকে নতুন বর, নতুন বর লাগছিল। আমি বিয়ে করলে কখনো বাজার টাজার করবো না। তবে, দর কষাকষিতে খুব আরাম আরাম ভাব আছে। এখানেও হার/জিতের খেলা!
কলেজে কয়েকজন রেসিপি দিল। কয়েকজন হাতে কলমে শেখানোর চেষ্টা করেছে, আমি গম্ভির ভাবে সেসব মুখস্ত করার ভান করছিলাম। বেশিক্ষন পারিনি, একসময় হেসেই দিলাম, সবাই খাতা দিয়ে মাথায় বাড়ি দিয়ে আমাকে বের করে দেয় আরকি...।
নোট: পোষ্ট বাড়ানোর ফন্দি, জীবিত কারো সহিত মিলিয়া গেলে স্রেফ কাকতালীয় হিসাবে ধরে নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৫:২১