কেমন কেটেছে রাতটা জিগ্যেস করতেই লজ্জায় নুইয়ে গেল কুমড়ো গাছের ডাঁটার মতো। বলল, ঘুমোতে পারেনি। অনভ্যাসের কারণে। এই শীতের রাতেও নাকি ঘেমে গোসল হয়ে গিয়েছিল। কাপড়ের সু্যটকেস গাড়ী করে তখনও আসেনি বলে পোশাক বদলাতে পারেনি। বেয়াড়া ড্রাইভারটাও রসিক হয়ে উঠল। গতকালও যে স্যার স্যার বলতে বলতে পেছনে পেছনে ঘুরতো সেও আজকে মহা বেত্তমিজ। সুপ্রিয় নায়কদের লজ্জায় ফেলতে সবাই যেন ষড়যন্ত্রে মেতেছে। একসাথে এতোগুলো রোমান্টিক নায়কের বাসর রাতের গল্প জমজমাট হতে পারতো। কিন্তু বেরসিক বাড়ীওয়ালী সব ভেস্তে দিল। জোর করে সবাইকে এক রুমে। এর মধ্যে অনেকের আছে নাক ডাকার অভ্যাস। তাই, ভয়ে তারা ঘুমোতে চাননি। একজন নাকি সারারাত পায়চারি করেছেন। প্রেয়সীকে বলার মতো কোন কথা খুঁজে পাননি।
তবে বাসর রাতের কিছু দম্পতির অভিযোগ যে ভালবাসা দিবসকে এভাবে অ্যাবিউজ করা ঠিক হয়নি। যারে দেখতে নারি তার সাথে জোর করে রাত কাটানোর বলপূর্বক চেস্টা করা অভিভাবকদের ভারী অন্যায় হয়েছে। সমমনারা একসাথে রাত কাটায়নি। কাটিয়েছে যাদেরকে সারাজীবন ভেংচি কেটেছে আর ঘেন্না করেছে। আজকালকার অভিভাবকরা কেন যে এতো বেরসিক!!! হিন্দী ছবি দেখেও যদি তাদের একটু বুদ্ধি বাড়তো। অনেকে নাকি অভিভাবকদের নিকুচি করেছে। এধরণের ভালবাসা তারা চান না। জোর করে বাসর রাতে ঢুকলেই যে ভালবাসা পয়দা হবে এই কথা ঠিক না।
তবে নায়করা একবাক্যে স্বীকার করেছেন কেউ দৈহিক নির্যাতনের শিকার হননি। এটা অনেকটা আপ্ত বাক্যের মতো। শালারা জোর করে ধরে নিয়ে গেলেও দৈহিক নির্যাতন না হওয়াতে তারা সারাদিন বেশ উৎফুল্ল্ল ছিলেন। বাড়ীওয়ালা বেশ খোশমেজাজে। কারণ, নায়করা তেমন একটা গোলযোগ করেননি। নীরবে গল্প করেছে। তারপরেও গরাদের ওপারে টানা বারান্দা থেকে সতর্ক চোখ রেখেছিলেন। বাসর রাত কাটিয়ে এখন তারা শ্বশুরবাড়ীতে বিদায় নিয়েছেন বলে [link|http://www.shamokal.com/details.php?nid=50855|evoxIqvjv wb
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০