বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যৌথবাহিনীর অভিযান শুর" হওয়ার পরেও তারেক রহমান নিয়মিত হাওয়া ভবনে এসে অফিস করেছেন। যায়যায়দিন পত্রিকা অফিসে গিয়েও বসেছেন দলের লোকজনকে সাথে নিয়ে। কিন' তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার খবরে ভীত হয়ে পড়েন তিনি। নিজের চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত করেন। 25 জানুয়ারির পর থেকে হঠাৎ করেই ক্যান্টনমেন্টের বাসভবন থেকে লাপাত্তা হয়ে যান তারেক রহমান। যৌথবাহিনীর ভয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। এ অবস্থায় দলের বিভিন্ন সত্দরের নেতাদের কাছে তিনি আশ্রয় চান। কিন' কেউই তাকে এখন আর আশ্রয় দিতে রাজি হচ্ছেন না। সপ্তাহখানেক আগে তারেক বিএনপির এক নেতার কাছে গিয়ে আশ্রয় চান। কিন' ঐ নেতা নিজের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আশ্রয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারেক তার কাছে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য 3 ঘণ্টা সময় চান। ঐ নেতা তাতেও রাজি না হওয়ায় তারেক ফিরে যান। 4 দিন আগে সন্ধ্যার দিকে তারেক রহমান যান যায়যায়দিন অফিসে। কিন' সেখান থেকে তাকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়। ফলে 20 মিনিট অবস্থান করার পর তারেক বেরিয়ে যান।
সূত্র আরো জানায়, গ্রেপ্তার হতে পারে, মায়ের এই সতর্কবাণীর পরেই গা-ঢাকা দেন তারেক রহমান। এরপর থেকে তার মা খালেদা জিয়াসহ পরিবারের কারো সঙ্গেই তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমানও জানতেন না তার স্বামী কোথায় আছেন। তিনি বেশ কয়েকবার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তবে তিনি ঢাকাতেই আত্মগোপন করে ছিলেন বলে সূত্রে জানা গেছে। গতকাল হঠাৎ করে তিনি তার আত্মগোপন অবস্থা থেকে বাসায় এসে হাজির হন। এরপরই তার বাসায় গোয়েন্দা নজরদারি শুর" হয়।
তারেকের মতোই গা-ঢাকা দিয়েছেন তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো। প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে গা-ঢাকা দেন আরাফাত।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৮