somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তারেক রহমানের বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ 'দিস ইজ নট দ্য ফাইনাল, সামনে আরো দিন আছে' সাকা (ক্লোজআপহাসি) দেশ ছাড়ছেন জমিরউদ্দিন

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধরাপড়ার আশঙ্কায় পিতার মাজারে গিয়ে ফাতেহা পাঠও করতে না পারার বেদনা তাড়া করে ফিরছে তাকে। তিনি তারেক রহমান। সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র। ঘটনাটি গত 19 জানুয়ারি জিয়ার জন্মবার্ষিকীর দিনের। আসলে তার আগে থেকেই যৌথবাহিনীর নাগালের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান। কার্যত তারেক রহমানের ক্যান্টনমেন্টের শহীদ মইনুল সড়কের বাড়িটির চারপাশে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে তাকে। গত বেশ কিছুদিন যাবৎ তারেক রহমানকে যৌথবাহিনী হন্যে হয়ে খুঁজলেও গতকাল সোমবার ভোর থেকে তারেক বাসায় অবস্থান করছেন বলে খবর পাওয়ার পর ওই বাসার ওপর কঠোরভাবে নজরদারি আরোপ করা হয়। ওই সড়কে যানবাহন চলাচলও নিয়ন্ত্রিত করা হয়। সরকারের ওপর মহলের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তারেককে গ্রেপ্তার করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে একথা জানা যায়।সূত্র জানায়, যৌথবাহিনীর তাড়া খেয়ে গত কয়েকদিন ঘরে না থাকা তারেক রহমান শেষ পর্যনত্দ ঘরে ফিরেছেন। সব মিলিয়ে এক রকম আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিলেন এক সময়ের প্রচণ্ড প্রভাবশালী তারেক রহমান। মা খালেদা জিয়ার সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ ছিল না। স্ত্রী জোবায়দা রহমানও জানতেন না তার স্বামী কোথায় আছেন, কি অবস্থায় আছেন। ক্ষমতায় থাকার 5 বছরে যারা তারেকের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তারাও আর কোনো সাহায্য করতে রাজি ছিলেন না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যৌথবাহিনীর অভিযান শুর" হওয়ার পরেও তারেক রহমান নিয়মিত হাওয়া ভবনে এসে অফিস করেছেন। যায়যায়দিন পত্রিকা অফিসে গিয়েও বসেছেন দলের লোকজনকে সাথে নিয়ে। কিন' তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার খবরে ভীত হয়ে পড়েন তিনি। নিজের চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত করেন। 25 জানুয়ারির পর থেকে হঠাৎ করেই ক্যান্টনমেন্টের বাসভবন থেকে লাপাত্তা হয়ে যান তারেক রহমান। যৌথবাহিনীর ভয়ে আত্মগোপন করেন তিনি। এ অবস্থায় দলের বিভিন্ন সত্দরের নেতাদের কাছে তিনি আশ্রয় চান। কিন' কেউই তাকে এখন আর আশ্রয় দিতে রাজি হচ্ছেন না। সপ্তাহখানেক আগে তারেক বিএনপির এক নেতার কাছে গিয়ে আশ্রয় চান। কিন' ঐ নেতা নিজের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আশ্রয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারেক তার কাছে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য 3 ঘণ্টা সময় চান। ঐ নেতা তাতেও রাজি না হওয়ায় তারেক ফিরে যান। 4 দিন আগে সন্ধ্যার দিকে তারেক রহমান যান যায়যায়দিন অফিসে। কিন' সেখান থেকে তাকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়। ফলে 20 মিনিট অবস্থান করার পর তারেক বেরিয়ে যান।
সূত্র আরো জানায়, গ্রেপ্তার হতে পারে, মায়ের এই সতর্কবাণীর পরেই গা-ঢাকা দেন তারেক রহমান। এরপর থেকে তার মা খালেদা জিয়াসহ পরিবারের কারো সঙ্গেই তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমানও জানতেন না তার স্বামী কোথায় আছেন। তিনি বেশ কয়েকবার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তবে তিনি ঢাকাতেই আত্মগোপন করে ছিলেন বলে সূত্রে জানা গেছে। গতকাল হঠাৎ করে তিনি তার আত্মগোপন অবস্থা থেকে বাসায় এসে হাজির হন। এরপরই তার বাসায় গোয়েন্দা নজরদারি শুর" হয়।
তারেকের মতোই গা-ঢাকা দিয়েছেন তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো। প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে গা-ঢাকা দেন আরাফাত।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৮
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×