somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অতঃপর ইডেন কলেজে একদিন

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকার একখান ভয়ানক সুন্দর কলেজ ঢাকা ইডেন কলেজ
যেখানে ছেলেদের প্রবেশের উপর ১৪৪ ধারা জারি থাকে সবসময়

কিন্তু বিশেষ এক কারনে আমার মত অধমেরও ঢুকার বিরল প্রজাতির অভিজ্ঞতা হয়েছিল একদিন :P

ছোট বোনের ভর্তি পরিক্ষার ফর্ম নিতে গেলাম সেই বিশেষ কলেজে। অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ফর্ম আমার ছোট বোন নিজেই অনেক কষ্ট করে তুলার ফলে আমার উপর শুধু এই একটা কলেজের ফর্ম নেয়ার দায়িত্ত দিল :P

কিন্তু নোটিস বোর্ডে লেখা স্টুডেন্টকে ছাড়া ছেলে গার্জিয়ানকে ৩ টার আগে প্রবেশ নিষেধ :P

পরলাম মহা ঝামেলায়,এই দিকে ফর্ম নিয়ে আমার নিজের ভার্সিটির ক্লাস ধরতে হবে,কিন্তুসা ১টা থেকে ৪ টা ক্লাস,তাই আবার এই জাগায় আসতে বিরক্তিকর। কিন্তু আজ যে ফর্ম নিতেই হবে
অবশেষে একখান বুদ্ধি বের করলাম,নিজের মাঞ্জা মারা জামা কাপড় ঢোলা দালা করে প্রস্তুতি নিয়ে ইডেন কলেজের গেটম্যানকে বললাম " মামা,আমার বাড়ি চিতাগাং ,সারা রাত ট্রেনে কইরা ঢাকায় আইছি বোনের ফর্ম তুলার জন্য ,কিন্তু গেটে দেখি লেখা পোলাগো ৩ টার আগে ঢুকতে দিবে না,কিন্তু মুই তো আবার ৩ টার ট্রেনের টিকেট কিন্না রাখছি,এখন যদি আমি ঢুকে ফর্ম নিতে না পারি তাহলে আমার সব শেষ হইয়া যাবে,বোন আবার রাগ করবে" গেটম্যান আমার আপাদমস্তক পরখ করে দেখল যে পোলা মনে হয় সত্যিই ঢাকার নয়া মাল,কিছুই বলে না,তাই আমার প্রতি বিশেষ করুনা দেখিয়ে বলল যে " যান সোজা যাবেন,আর ফর্ম নিয়া বের হয়ে আসবেন,এই দিক ঐদিক তাকাবেন না "

গেট পাস করে ভিতরে ঢুকে তো আমার চক্ষু চরগ গাছ :P ,জীবনে কোন জাগায় গেলাম,স্টেডিয়াম খেলা দেখলাম,ভার্সিটিতে সারাক্ষান বাঁদরামি কইরা বেরাই,কিন্তু এক সাথে এত মেয়ে দেখে তো বুক ধক ধক করছে
কোথায় থেকে ফর্ম তুলব,বুঝতে পারছি না, জামা কাপড় আমার পোশ করব সেই উপায়ও নাই,কারন ডিলে ডালা জামা ঠিক করতে আবার ওয়াস রুম দরকার
তাও বার কই পাই :P
অবশেষে একটা বিল্ডিং এর চিনে দেখলাম কিছু জঙ্গি মার্কা (নেত্রী মার্কা) মেয়ে চেয়ারে পা দুলিয়ে বসে আছে,গিয়ে বললাম "এক্সিউজ মি,ভর্তি ফর্ম দেয়া হয় কথা থেকে ? "
বলার সাথে সাথে চোখ মুখ লাল করে বলে উঠল যে আপনি এই জাগায় ঢুকলেন কিভাবে,এই খানে তো পুরুষ ডুকা নিষেধ, তারাতারি উপস্থিত বুদ্ধি করে মামার সাথে বলা কথাটা বলে পারপেলাম,
আমি নিজেও রাজনীতির নামে কুনীতি করে থাকি(যদিও দলটা অন্য :P) কিন্তু ওনার ভাব দেখে নিজেই ভয়ে পেয়ে গেলাম
অবশেষে ভর্তি ফর্ম দেয়ার সেই বিল্ডিং পেয়ে গেলাম,কিন্তু বিপত্তি বাজল অন্য জাগায়,সবাই লাইনে দাঁড়ানো (মেয়েরা),কিন্তু আমার মত বলদার জন্য তো কোন লাইন নাই :P আমি কই দারামু ????
শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে নিজেই একজনের পিছে দাড়িয়ে গেলাম :P
ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রীরাতো সেই লাইনের মধ্যে ভীর করে আছে,আমি দাঁড়ালে আমার কোন বিপদে পরে যাই বলা যায় না।কারন যদি পিছন থেকে ভীরের ধাক্কায় আমি যদি কারো সাথে সামান্য স্পর্শও খাই,তাহলে মাইর একটাও নিচে পরবে না :P
অবশেষে পিছনের এক আপুকে বললাম যে আপু আমি তো শুধু একজন,যখন আমার সিরিয়াল আসবে তুমি আমাকে একটু বলিও,আমি পাশে গিয়ে দাড়াই :P কারন এই খানে পরিস্থিতি ভয়াবহ,একটু হ্যাল্প করিও প্লিজ :P

পাশে দাড়িয়ে রইলাম,আর আসে পাশে দিয়ে যেই যায় আমার দিকে কৌতূহলী দৃষ্টি নিয়ে তাকায়া চলে যায় :P গ্রুপ করা কোন মেয়ের দল হেটে গেলে তো কথাই নেই কৌতূহলী দৃষ্টির সাথে সবাই মিলে একসাথে মুচকি মুচকি হাসি দিয়া মজা লুটার উপর আছে,তখন আমার মনে হল ছাইড়া দে মা,কাইন্দা বাঁচি,দরকার নাই এই কলেজ,আমার ভার্সিটিই অনেক ভাল,মনে মনে বলতে লাগলাম "আসিস একবার আমার ভার্সিটিতে,আমিও আমার ফ্রেন্ডদের নিয়া তোর দিকে তাকায়া তাকায়া মুচকি না,অট্ট হাসি দিমু :P "

অবশেষে ২ ঘণ্টার ব্যাপক প্রতীক্ষার পর সেই মেয়েটি বলে উঠল " ভাইয়া তোমার সিরিয়াল এখন"

আমিও যেন মৃত দেহে প্রান ফিরে পেলাম :D :D :


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ কাউকে ছোট করার জন্য হয়,একটি ঘটনাকে মজা করে লেখলাম
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×