হেই 1971 সালের কতা। এক গেরামে বাস করতো করিমুদ্দি। দ্যাশে লাইগ্যা গেছিল যুদ্দু। করিমুদ্দি গেল যুদ্দে। হের একখান রাম ছাগল আছিল। হেইডারে বাইন্দা রাইখ্যা গেছিল এক কাডাল কাছেল লগে। তো হেই ছাগলে কাডাল গাছের বেবাক পাতা খাইয়া ফালাইছিল। তারপর তো তার কি খিদা। খিদার চোটে খালি ভর্্যা ভ্যা করে। ঐ গেরামে আইছিল মিলিটারি। তারা গেরামে ঢুইকাই শুনে বিকট ভ্যা ভ্যা শব্দ। আসলে ঐটা আছিল করিমুদ্দির রাম ছাগলের গালাগালি। ঐ শব্দে মিলিটারিরা এমন বিরক্ত হইলো যে গেরাম থুইয়া পলাইলো। এই কাহিনি পুরা গেরাম হইয়া গেল। একদিন ঐ রাম ছাগলের কানেও আইলো ঐ কাহিনী। হেতে ভাবলো হের ভ্যা ভ্যা গালাগালি হুইন্না দেশ স্বাধীন হইছে। তাই হেয় তার পর থিকা আরো ভ্যা ভ্যা স্বরে গালাগালি করতে থাকলো।
দেশ স্বাধীন হওনের 35 বছর পরে একখান ওয়েব বোলগ করছিল কোন বেডায় জানি। হেইটার খবর হুইন্না করিমুদ্দির রামছাগল ঐখানে নিক রেজিষ্টি করলো। হেতে নিজের নাম পরিবর্তন কইরা করলো আমি রহমান হিয়াল। কারন হেয় হুনছিল হিয়াল নাকি খুব চালাক পেরানী। ভাবছে লোগেও হেরে চালাক ভাববো। এই ভ্যা ভ্যা করতে গিয়া হেতে হায় হায় দিন নামের যে পত্রিকায় চাগরী করতো তাউ গেছে গা। বেচারা হিয়াল।
অহন নাকি হেই হিয়াল ওয়েব বোলগে বইস্যা বইস্যা রাজাকার মারে। কেমনে মারে জানেন? ভ্যা ভ্যা কইরা গালাগালি করে আর নাচে। হেই বোলগে কেডা জানি তার ভন্ডামী ধইরা ফেলাইছিল। তাই হেই হিয়াল তার পিছে লাগছে।
আমরা হিয়ালের ভ্যা ভ্যা আরো বারুগ এই দোয়া করি। বলেন আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০