somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এদেশে থাকি

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অসম প্রতিযোগিতা এবং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সামগ্রী বিপণন ও গ্রাহক সেবার সুবিধার্থে একখানা গাড়ী নামিয়েছিলাম রাস্তায়। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জ্বালাতন আর জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির নিয়ত আতঙ্কে এই গাড়ী নিয়ে এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থা। কারণ বছরের শুরুতেই ফিটনেস, ইনস্যুরেন্স, ট্যাক্স, ভ্যাট ইত্যাকার বাবদ বিশাল অংক পরিশোধ করার পরেও রাস্তায় নিত্যকারের যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে।

পথের শৃঙ্খলা আনয়নের চেয়ে বিভিন্ন যানবাহনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ত্রুটি অনুসন্ধানই যেন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রধানতম কাজ। ঢাকা শহরে যারা দুর্ভাগ্যক্রমে কোনো ধরণের বাহনের মালিক হয়েছেন তারা জানেন এব্যাপারে। যখন তখন হাতের ইশারায় গাড়ি থামানো এবং কাগজ পত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোনো ত্রুটি ধরা নাপড়লে শেষে গাড়ীর নাট-বল্টু পর্যন্ত ঘাটাঘাটি শুরু করে দেন সার্জেন্ট মহোদয়গণ। কারণ হাতে একখানা 'দন্ড পুস্তিকা'। ওটার সদ্ব্যবহারতো অন্তত করা চাই! আর ঐ পুস্তিকা ভীতিই গাড়ীর মালিক বা চালকদের সার্জেন্ট মহোদয়গণের পকেটের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়তা করে থাকে। কেননা সার্জেন্টরা যেকোনো অজুহাতে আপনাকে একটা মামলার রশিদ ধরিয়ে দিতে পারে। এরপর আপনাকে নুন্যতম দুইশত টাকা গোনা সহ বিভাগীয় দপ্তরে হাজির হয়ে লম্বা লাইন দিতে হবে। আর জরিমানা মাফ করাতে চাইলেতো কথাই নাই!

কিছুদিন পূর্বে ঢাকার ব্যস্ততম রাস্তায় এক সুদর্শন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা পশ্চিমি ভঙ্গিমায় হাত তুলে সরবরাহের কাজে নিয়োজিত গাড়ীটি থামিয়ে দিলেন। আণুবীক্ষণিক দৃষ্টিতে সকল কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চালককে বললেন, এই কাগজে গাড়ী চালানো যায়না। আমি এগিয়ে গিয়ে আর কি কাগজ চাই জিজ্ঞেস করাতে বললেন, সেটা বিআরটিএ'র কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন। আমি বললাম, এর বাইরে বিআরটিএ'র আর কোনো কাগজাদি নাই। এরপর উনি আমাকে বললেন, আপনি চাকরি করে কোম্পানির জন্য এত কথা বলছেন কেনো? আমি কোম্পানির মালিক পরিচয় দেবার পর উনি ততোধিক রুষ্ট হয়ে দায়িত্ব পালনরত সরকারী কর্মকর্তার সাথে তর্ক করা যায়না বলে সতর্ক করলেন।

ব্যবসায়ীক নানান প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকুলতার সম্মুখীন হওয়ার পর আমার মত হয়তো অনেকেই রাস্তায় গাড়ী চলাচল সংক্রান্ত ব্যাপারেও নিত্য-নৈমিত্তিক অভিজ্ঞতালব্ধ হচ্ছেন। এইতো সেদিন! একজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা গাড়ী ও কাগজপত্র সংক্রান্ত কোনো ত্রুটি নাপেয়ে নগদ নারায়ণে ইতস্তত হলেন। তারপর নিজ গৃহে ব্যাবহারের জন্য কিছু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতির আবদার করে বসলেন। সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিনিধি এবং চালক তাদের অপারগতা প্রকাশ করলে সে মালিক পক্ষের ব্যক্তিগত নম্বর সংগ্রহ সহ পরবর্তীতে যোগাযোগ করতেও কুণ্ঠিত হন নাই! চারিপাশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, রাষ্ট্র যন্ত্রের চাঁদাবাজি এবং নিয়মের শৃঙ্খলে অনিয়মের এই সবকিছু দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, কেনইবা জন্মেছিলাম এদেশে?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×