আমি একটু একটু লিখি অনেক দিন থেকে। 1995 সালের কথা। গল্প লিখি শুনে এক সিনিয়র ভাই বললেন, তোর প্রিয় লেখক কারা বল দেখি? আমি তখন সবে ভাল ভাল লেখকদের লেখা পড়তে শুরু করেছি। বললাম, হাসান আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, অমিয়ভূষণ মজুমদার, দেবেশ রায়। সিনিয়র ভাই বললেন, ভাল লেখার সঙ্গে এখনও পরিচয় হয়নি দেখছি। শীর্ষেন্দু, সমরেশ, বুদ্ধদেব গুহর নাম শুনিশনি তাই না? আমি একটু টাসকি খেয়ে তার দিকে তাকালাম। বললো, লজ্জা কি জেনে নিবি? আর পড়ে ফেলিস। ঠিকাছে?
ব্লগেও এক ধরনর বুদ্ধিজীবীতা দেখলাম। আমরা যখন সিনেমা আন্দোলন / চলচ্চিত্র আন্দোলন করতাম তখন অলটারনেটিভ বা সমান্তরাল ধারা কথাটা প্রথম প্রথম খুব বলতাম। পরে আরেকটু ইন্টেলেকচুয়াল হয়ে বলতে শুরু করলাম অলটারনেটিভ বা মেইনস্ট্রিম বলে কিছু নাই। হয় ভাল সিনেমা নয়তো মন্দ সিনেমা। আরেকটু ইন্টেলেকচুয়াল হয়ে পপুলার কালচার সম্পর্কে পড়াশোনা করে ভাল-মন্দ বলাও ছাড়লাম। যে কোনো পূর্বধারণা ছাড়া যাতে সিনেমা দেখতে পারি তার কোশেশ করতে থাকলাম।
ব্লগে আমি বুনুয়েল তারকোভস্কি যেমন দিয়েছি, বলিউডও তেমন দিয়েছি। কখনও বলি নাই, না হিন্দি সিনেমা নিয়ে আমার ইয়ে নাই। কিন্তু প্রায় আশিটা সিনেমা নিয়ে আলোচনার পর মনে হচ্ছে, আমার ইন্টেলেকচুয়াল হওয়ার ইতিহাসটা একটু শেয়ার করার দরকার আছিল। কারণ কেউ কেউ আমার হিন্দি সিনেমা নিয়ে ইয়ে নাই বলে হেভি একটা ইন্টেলেকচুয়াল ভাব নিতে আছেন। গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ লেখা লিখে বোঝাইতেছেন। মাহবুব যে হিন্দি সিনেমা বুনুয়েল, তারকোভস্কি, কিয়েসলভস্কি, ঋতি্বক এক সাথে আলোচনা করতেছে এইটা না বুঝেই করতেছে।
ডোন্ট মাইন্ড। আজ পোস্ট দেয়ার আর কোনো আইডিয়া পাইলাম না তাই এইটাই ছাড়লাম।