somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তখন শালার হেন ছেলে ব্লগার নাই .....................

১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৭ রাত ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাগ ইমন

রাগ ইমন আপনার কিছু বলার থাকলে বলে ফেলুন। অনেকের মুখোশ আছে যখন ঘোষনা দিয়েছেন, তখন সেই মুখোশ খুলবার দায়িত্ব ও আপনার।

টাংকি আর ইভটিজিং তফাৎ অনেক। তারপর যেহেতু আপনার বয়স আঠারোর উর্ধ্বে সেহেতু আপনাকে কেউ ইভটিজিং করলে সেটা অপরাধের পর্যায়ে পড়েনা। কিংবা অনৈতিকতার পর্যায়ে পড়ে বলে মনে হয় না। কিন্তু আপনার ব্যক্তি অভিমত যদি হয় সেটা অনৈতিক তবে সেই ছেলে বা পুরুষকে বলে দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। টাংকি শব্দটার অন্তর্গত মানে হচ্ছে কোন বিপরীত লিংগের প্রতি আকর্ষনের প্রকাশ। প্রকাশভঙ্গীর পার্থক্যে দিয়েই সেটার মান যাচাই করতে হবে। একটা ছেলে একটা মেয়েকে টাংকি মারা কিংবা একটা মেয়ে একটা ছেলেকে টাংকি মারলে সেটাকে আমি মানসিক এবং শারিরীক সুস্থতার পরিচয় বলেই মনে করি। আবারো বলছি প্রকাশভঙ্গীর মানের উপর সেটা নির্ভর করে , অনেকসময় এটা অসুস্থতাও হতে পারে।

" তখন শালার হেন ছেলে ব্লগার নাই ....................." এই কথাটা কেন বললেন বুঝলাম না। ব্লগের ছেলেগুষ্ঠীর ঝান্ডা ধরবার উদ্দশ্যে এই কথা বলছি না। কারণ আপনার এই কথাটা সস্তা পুরুষ নেতৃত্বাধীন নারীবাদের মত শোনালো। কেউ আপনাকে টাংকি মারলে তার সাথে কথা না বলুন; কিন্তু টাংকি গিলবেন, হজম করবেন এবং একদিন হঠাৎ করে সাত আসমান ফুঁড়ে বলে উঠবেন কেন যে সেভ করে রাখিনি , রাখলে এদের মুখোশ তাহলে খুলে দেওয়া যেত। এটার মানে কি।

তসলিমা নাসরীনের আত্মজীবনীতে হাসান(সম্ভবত) নামে একজনের সাথে লেখিকার সম্পর্কের কথা বলা আছে। হাসানের বউয়ের জন্য হাসান শাড়ী কিনে সেটা নিয়ে টীটকারি আছে। হাসানের সাথে শারিরীক কিম্বা মানসিক সম্পর্ক স্থাপনে লেখিকার অনাগ্রহ থাকলে উনি সম্পর্কে না জড়ালেই পারতেন। হাসান যদি জোরপূর্বক সম্পর্ক স্থাপন করতো তবে সেটার জন্য আইন, আইন-শালিশ কেন্দ্র এবং ব্যক্তি হিসেবে উনার পরিচিতিই যথেষ্ট ছিলো ফয়সালা করবার।কিন্তু উনি করেননি। এখন বইয়ের পাতায় হাসান এবং হাসানের বউয়ের কথা তুলে এনেছেন। হাসানের বউ ভীষণ গেঁয়ো একটি সাধারণ মেয়ে বলে তাচ্ছিল্য করবার চেষ্টা করেছেন। এটা নিতান্তই লেখিকার বই বিক্রির একটা কৌশল। হয়তো হাসান নামে কেউ নেই , আর থাকলেও লেখিকা যেটা করেছেন সেটা হলো হাসানের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন সেটাকে বিক্রী করলেন। প্রশ্ন হচ্ছে সম্পর্ক ভাল না খারাপ, সেটা সম্পর্কের মধ্যেই যাচাই করতে হয়। সম্পর্কের অর্ধযুগ বাদে হাসান মন্দ লোক এটা আবিষ্কার করা, নিজের অতীত অস্বীকারের সমান । মন্দ লোকের সাথে সম্পর্ক হতেই পারে, কিন্তু যখন সম্পর্ক করেছেন তখন তাকে মন্দ মনে হয়নি বলেই করেছেন। সুতরাং সম্পর্কের দায় দুজনেরই। ইন এ ফাইন মরনিং, দেড়শো পৃষ্ঠার বই দিয়ে নিজেকে হালাল করা, আরো বড় মন্দ লোকের কাজ। লেখিকা সেই আত্মজীবনি দিয়ে অনেকের মুখোশ খুলেছেন বলে দাবী করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মন্দ লোকদের মুখোশ তৎক্ষণাৎ খুললে উনার কি ক্ষতি হতো? কিংবা মন্দ লোকের সংস্রব ত্যাগ করলে উনার কি ক্ষতি হতো? সারা বছর নারী অধিকারের কথা বলে লেখিকা নিজে কিন্তু অধিকারের চর্চা করেননি, উনি যেটা করেছেন সেটা হলো এই লোকগুলোর বিরুদ্ধে নিজের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কালোরা বছরের পর বছর শোষণের শিকার। এখন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র সংখ্যা লঘু অধিকার আইন আছে।
এখন যেটা হয়েছে সেটা হলো, কালোরা এখন এই আইনের অসৎ সুবিধা নেওয়া শুরু করেছে। ফলে সাদারা তটস্থ কখন কোন অজুহাতে কেউ বলে উঠবে, " আমি মাইনরিটি তাই...... "

আপনি টাংকি মারার যে কথা বললেন সেটা " আমি নারী তাই........." এরকম শোনালো। এটা ভার্চুয়াল জগৎ। এখানে অন্তত অধিকারের চর্চা করা যায় বলে মনে করি। কারও আচরণ খারাপ লাগলে সরাসরি বলা যায়, কিংবা তখনই সেই পুরুষের বা ছেলের আচরণ এর কথা ব্লগে বলা যায়, অন্য নারীদের সাবধান করা যায়।কিন্তু আপনি সেরকম কিছুই করলেন না সময়ে, এখন ব্লগে " মিথিলা রহস্যে"র জন্য আপনার দিকে আঙ্গুল উঠা মাত্র , আপনি তাবৎ ব্লগের সকল আঙ্গুলি আপনাকে এক সময় খোঁচাতে চেয়েছিল বলে দাবী করছেন। এ কাজ করে নারী অধিকারতো আপনি লুণ্ঠিত করলেনই, সেই সাথে অনাগরিক/অব্লগার সুলভ আচরণ করলেন।

সামহোয়ার ইনের একজন ব্লগার হিসেবে আপনার কাছ থেকে এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত মন্তব্য আশা করিনি। আশা করছি ব্লগের সব দুঃশ্চরিত্রের মুখোশ আপনি খুলে দিবেন, ব্লগের নারীকূল এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বার্থে। পুঞ্জীভূত ক্ষোভ শুধু হতাশা আনে, নতুন সূর্য আনে না।

ভাল থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৬৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×