ব্যাটারা জোর করেই উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে স্বর্গে টিকিট কেনার লাইনে সবার আগে দাঁড়ানোর প্রতিযোগীতায় প্রথম কাতারে থাকতে চায়। অথচ উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপালে যে টিকিটই গুম, তা বোঝার মতো বুদ্ধি তৈরী হয়নি এদের মগজে। এদের কথা ভাবলে মাঝে মাঝে রাগ হয়, মাঝে মাঝে করুনাও হয়। এদের অন্ধত্ব এতো বেশী নিকষ, যে এরা রাষ্ট্রিয় ধর্মনিরপেক্ষতা ও ব্যাক্তিগত ধর্মবোধকে মিলিয়ে মিশিয়ে পঁচা ঝোল না খেতে পারলে তৃপ্ত হয়না। এরা নিজেরা সে ঝোল খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চায় না, বাজারেও পশারি সেজে দাঁড়ায়।
অথচ রাষ্ট্রিয় ধর্মনিরপেক্ষতা যে ব্যাক্তিগত ধর্মবোধকে আঘাত করে না, বরং আরো শক্ত করে প্রতিষ্ঠিত করে, এটুকু তলিয়ে ভাবতে সায় দেয়না ওদের মগজ। এদের এই বুদ্ধিহীনতা, মিথ্যাচারিতা আর ধর্মান্ধতার শেষ কবে, জানা নেই। তবে মানুষ যে প্রতিনিয়তয়ই আরো বেশী ভাবতে শিখছে, তাদের বাজার যে তাতে পড়ছে প্রতিদিনই আরো বেশী, সেটা দু:সপ্নের মতো একদিন সামনে দাঁড়ালে হয়তো ওদের বোধোদয় হবে একদিন। সেটা হবার আগে এদেরকে পথে আনার সাধ্য হয়তো ওদের সৃষ্টিকর্তারও নেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০