বাইরের কোনো ব্যক্তির চেয়ে গান্ধীর নাতির পৰে তার জীবনী লেখা কি কঠিন নয়? এ প্রশ্নের উত্তরে রাজমোহন বলেন, উত্তেজনা ও আঘাত দুটোই আমার এই জার্নিতে ছিল। অনেক সময় আমি কেদে ফেলেছি। কস্তুরা বাই ও তার সনত্দানদের বেদনায় ব্যথিত হয়েছি। আবার উত্তেজনায় কেপে উঠেছি। গান্ধীর স্মৃতি সম্পর্কে রাজমোহন বলেন, '1946 সালের গ্রীষ্মে আমার বয়স হয়েছিল 11। 1948 সালের 30 জানুয়ারি আমার বয়স হয়েছিল সাড়ে 12 বছর। তখন গান্ধী আমাদের দিলিস্নর বাড়িতে অনেক দিন কাটিয়েছেন। আমি ও আমার সহোদর তখন বাবা-মার কাছে থাকতাম। (বাবা দেবদাস গান্ধী গান্ধীর চতুর্থ ও শেষ সনত্দান ও হিন্দুসত্দান টাইমস পত্রিকার সম্পাদক। মা সি রাজাগোপালের মেয়ে লক্ষ্মী)। আমি প্রায়ই গান্ধীর সঙ্গে থাকতাম। বিশেষ করে সর্বধর্মীয় বৈকালিক প্রার্থনা সভায়। আমি তার কাছাকাছি থাকতাম, প্রার্থনার পর তার কথা শুনতাম। তখন হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষ তীব্র। তিনি কোরআন থেকে আয়াত পাঠ করতেন বলে কিছু শ্রোতা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। আমি তখন নিজেকে জিজ্ঞাসা করতাম, কেউ যদি তার ওপর হামলা করে তবে কি আমি তাকে বাচাতে পারবো? আমি তখন দাদার মুখের দিকে তাকাতাম। তার মুখের প্রশানত্দি আমার মধ্যে প্রশানত্দি বয়ে আনতো। আমি তাকে বোঝার মতো যথেষ্ট বড় ছিলাম না। কিন্তু দেখতাম এই বৃদ্ধ ব্যক্তিটি রাগের বশীভূত হন না। তার প্রতিবাদকারীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করেন। 30 জানুয়ারির প্রার্থনা সভায় আমি যেতে পারিনি স্কুলের খেলা চলার কারণে। ওই সভায় যাওয়ার সময় তিনি ঘাতকের গুলিতে বিদ্ধ হয়েছিলেন।'
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০