সময় কম জেনেও তুমি করেছিলে যাত্রা
ধূসর কন্টক পথে হাতছানি ছিলো
বটবৃক্ষের ছায়ার প্রশান্তি যতো
অসীম নীলিমে ডাকছিলো তারাদের মেলা।
এক আজন্ম মাটির টান ছিলো অন্তরে তোমার
তুমি তাই খুঁজছিলো স্বদেশের মুখ
অন্তর্জালের অন্তরাত্মায় আপন লেখনীতে।
খুব অভিমানী ছিলে তুমি-
যে কবিতার শ্লোক তোমাকে করেছিলো বিদগ্ধ
ঘুমহীন চোখে জাগিয়ে দিতো বেঁচে থাকার অস্বস্তি
অথচ দ্যাখো সেই কবিতায়ই জানালে তুমি শেষ স্মৃতি!
সুরমা পাড়ের এক শান্ত কিশোর
শৈশবের ঘুড়ি হাতে অপেক্ষায় ছিলো উন্মুখ
তাকেও কাঁদালে তুমি অবেলায়
তোমার অসীম পথচলা থামাতে পারে কী কেউ?
এরকম আত্মসন্ধানী অভিমান তোমাকেই মানায়
অবিনশ্বর শব্দের ধ্বনি বাজায় হৃদয়তন্ত্রীর সুর।
অথচ দ্যাখো কী অবলীলায়
একজন কবিই শুনছে তোমার বুকের শব্দঢেউ
কেঁদেকেটে ভাসাচ্ছে দু্থচোখ
তোমার প্রতিচ্ছবি বুকে কাটাচ্ছে কতো নির্ঘুম রাত!
১৪.০১.২০০৭
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৪:৩৮