somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাবুল এক্সপ্রেস

১১ ই জানুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৫:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতের বাইরে এতকাল হিন্দি সিনেমা গিয়েছে পরিচিত ও সীমিত পরিসরে। কিন্তুসিনেমাগুলোর বিষয় ভারতেই ছিল। এক সময় হিন্দি সিনেমার নায়ক-নায়িকারা রেগুলার সুইজারল্যান্ড, মরিশাস যেতেন প্রি-ম্যারিটাল বা ম্যারিটাল হানিমুন সারতে। এখন বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের নতুন ভূমিকার কারণে বোম্বের ফিল্মের নায়ক-নায়িকা, কাহিনী, বিষয় ঘন ঘন আমেরিকা যাইতেছে। তাদের ব্রিটেন গমন অবশ্য সুইজারল্যান্ড বা মরিশাস যাওয়ার মতোই বনেদি ব্যাপার। এবার বলিউড আফগানিস্তান অভিযানে নেমেছে। আমার জানা মতে আফগানিস্তানে এটা তাদের দ্্বিতীয় অভিযান। প্রথম বার অভিযান চালিয়েছিলেন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এসকেপ ফ্রম তালিবান (2003) সিনেমার মধ্য দিয়ে। তালিবান সমস্যা যখন প্রচণ্ড আলোচিত প্রসঙ্গ তখন বলিউড এই ট্রাশ পয়দা করেছিল। আর এখন ভারত আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মাতবর। আমেরিকার দক্ষিণ এশিয়া নীতির মোক্ষম সমর্থক। তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের একনিষ্ট অংশীদার। এতকাল ভারতের সাংস্কৃতিক যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছিল বলিউডের হিন্দি সিনেমায় পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিবাদীদের তুলোধুনা করতে করতেই। কিন্তু এবার তাদের পরিসর ঘোড়া ডিঙ্গিয়েছে। পাকিস্তান ডিঙ্গিয়ে আফগানিস্তানে ঘাস খেতে গিয়েছে বলিউড। তার ফলাফল হলো, সেখানে গিয়েও পাকিস্তানের গানই গেয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি।
কাবুল এক্সপ্রেস এক বর্ণবাদী, ও দাদা(গিরি)বাদী সিনেমা। পরিচালক কবির খান নাকি এর আগে আফগানিস্তান নিয়ে অনেক ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন। কিন্তু আফগানিস্তানে মানুষ, ইতিহাস বিষয়ে তার কোনো ধারণাই জন্মায়নি। এই পোড়ো ভূমির যুদ্ধ কবলিত দেশ নিয়ে তিনি যে প্রহসণ নির্মাণ করেছেন তা বলিউডের বর্ণবাদের ইতিহাসে নতুন একটি মাইল ফলক তৈরি করলো। আফগানিস্তানে এই মুভি নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছে। তার এই ছবির বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির তীব্র প্রতিবাদ করেছেন।
দুই ভারতীয় টিভি সাংবাদিক আফাগনিস্তানে যায় তালিবান যোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিয়ে এক্সক্লুসিভ রিপোর্টের খোঁজে। তাদের সঙ্গে জোটে এক মার্কিন ফটো জার্নালিস্ট। পথে তাদেরকে জিম্মি করে এক আফগান। আমেরিকান সাংবাদিক আবিষ্কার করে ইনি একজন পাকিস্তানী অফিসার। যাকে শেষ সিনেমার শেষে পাকিস্তানী সৈন্যরা গুলি করে হত্যা করে। কারণ পরিবর্তিত পরিস্থিতি। পাকিস্তান যেহেতু তালিবানদের সাহায্য দেয়ার কথা অস্বীকার করতে চায় তাই এই তাদের নতুন ভূমিকা।
এই সিনেমায় একটি আমেরিকান সৈন্য, এক আমেরিকান যুদ্ধ বিমান, একটি আমেরিকান পতাকা নেই। দেখানো হয়েছে এখানকার হাজারা জাতি ভীষণ খারাপ। এখানে জনতা তালিবানদের ধরে গণপিটুনি দিয়ে খতম করছে। এখানে মানুষের জীবন অবিশ্বাস, হিংসা আর হতাশায় পূর্ণ আর এরজন্য বিশেষভাবে দায়ী পাকিস্তান। যেন আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন কোনো প্রসঙ্গ নয়। এই ভয়ংকর সিনেমায় একটি বিষয়ই হয়তো ভালভাবে এসেছে তা হলো দেশটির পুরোটাই একটা ধ্বংসস্তূপ। এই সিনেমা দেখতে দেখতে মনে পড়ছিল ইরানি পরিচালক মহসেন মাখমালবভের [link|http://www.somewhereinblog.net/mahbubmoreblog/post/20481|Kv
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

**অপূরণীয় যোগাযোগ*

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৮ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১৯

তাদের সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল ৬ বছর আগে, হঠাৎ করেই। প্রথমে ছিল শুধু বন্ধুত্ব, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা গভীর হয়ে উঠেছিল। সে ডিভোর্সি ছিল, এবং তার জীবনের অনেক কষ্ট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি অজ্ঞ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫২


ভাবতে পারো
৮০ টুকরো হতে হয়;
ভাবতে পারো
জ্বলে পুড়ে মরতে হয়!
ভাবতে পারো
কতটুকু লোভ লালসা
থাকলে পরে
এমন হবে বলো দেখি;
ভাবতে পারো
কেমন জন্ম মৃত্যুর খেলা;
জানি আমি
তুমি কিছু ভাবতে পারবে না
কারণ তুমি অজ্ঞ
মৃত্যুর পরে একা... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×