কাবুল এক্সপ্রেস এক বর্ণবাদী, ও দাদা(গিরি)বাদী সিনেমা। পরিচালক কবির খান নাকি এর আগে আফগানিস্তান নিয়ে অনেক ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন। কিন্তু আফগানিস্তানে মানুষ, ইতিহাস বিষয়ে তার কোনো ধারণাই জন্মায়নি। এই পোড়ো ভূমির যুদ্ধ কবলিত দেশ নিয়ে তিনি যে প্রহসণ নির্মাণ করেছেন তা বলিউডের বর্ণবাদের ইতিহাসে নতুন একটি মাইল ফলক তৈরি করলো। আফগানিস্তানে এই মুভি নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছে। তার এই ছবির বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির তীব্র প্রতিবাদ করেছেন।
দুই ভারতীয় টিভি সাংবাদিক আফাগনিস্তানে যায় তালিবান যোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিয়ে এক্সক্লুসিভ রিপোর্টের খোঁজে। তাদের সঙ্গে জোটে এক মার্কিন ফটো জার্নালিস্ট। পথে তাদেরকে জিম্মি করে এক আফগান। আমেরিকান সাংবাদিক আবিষ্কার করে ইনি একজন পাকিস্তানী অফিসার। যাকে শেষ সিনেমার শেষে পাকিস্তানী সৈন্যরা গুলি করে হত্যা করে। কারণ পরিবর্তিত পরিস্থিতি। পাকিস্তান যেহেতু তালিবানদের সাহায্য দেয়ার কথা অস্বীকার করতে চায় তাই এই তাদের নতুন ভূমিকা।
এই সিনেমায় একটি আমেরিকান সৈন্য, এক আমেরিকান যুদ্ধ বিমান, একটি আমেরিকান পতাকা নেই। দেখানো হয়েছে এখানকার হাজারা জাতি ভীষণ খারাপ। এখানে জনতা তালিবানদের ধরে গণপিটুনি দিয়ে খতম করছে। এখানে মানুষের জীবন অবিশ্বাস, হিংসা আর হতাশায় পূর্ণ আর এরজন্য বিশেষভাবে দায়ী পাকিস্তান। যেন আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন কোনো প্রসঙ্গ নয়। এই ভয়ংকর সিনেমায় একটি বিষয়ই হয়তো ভালভাবে এসেছে তা হলো দেশটির পুরোটাই একটা ধ্বংসস্তূপ। এই সিনেমা দেখতে দেখতে মনে পড়ছিল ইরানি পরিচালক মহসেন মাখমালবভের [link|http://www.somewhereinblog.net/mahbubmoreblog/post/20481|Kv