দাদা, তোমার আজ প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তুমি কোনো পলিটিক্যাল নেতা ছিলা না যে আজকে তোমারে কেউ মনে করবে, তারপরও মনে করলাম। কারন তুমি আমাদের নেতা, না নেতা না গুরু ছিলা। যদিও আমি এখন সেই স্কিলের 1শতাংশ ও রাখি নাই। তোমার সঙ্গীরা যখন একের পর এক অ্যালবাম বাইর করতো গানের, তুমি তোমার ছাল উঠা ফেন্ডার নিয়ে কি-সব সুর করতা! ফ্ল্যামেনঙ্গোতে তো তুমি ছিলা বস! তোমার সঙ্গে মাত্র 2মাস কাটাইছি দীক্ষার উছিলায়। দীক্ষা কি আর লইছি; দেকছি খালি তোমার বাজানো।
তোমার প্রিয় বন্ধু হ্যাপি মরে গ্যালো, লাকী উধাও, আর তুমি ডুবলা মদে। তোমার গলা আর গিটার একসাথে তাও যাইত দাদা! এরকম কত্তো টুকরো-টাকরা কথা আজকে মনে আসতেছে। নীলয় দাস, আজকের মৃত্যুদিনে আমার অর্ঘতোমায়! যদিও আজকে কোন পত্রিকায় হয়তো তোমার কথা লেখা হয় নাই। তারপরেও তোমার গিটার চোরেরা হয়তো তোমায় মনে করবে, যাদেরকে তুমি ভাবতে হবু নীলয়! তোমার ফিঙ্গারিং আর রিদম আজ খুব মিস করছি! ভুল করলে তুমি, অভিমান করে গান না করে। মাত্র তিনটা আ্যালবাম! নীলয় দাসের! কিছুই দিলা না তুমি। নিদারুন কষ্ট নিয়েই চলে গ্যালে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০