ও আমাদের অফিসের ক্যাশ ডিপার্টমেন্টের পিয়ন। প্রধান কাজ ব্যাংক থেকে ব্যাংকে ছুটাছুটি করা। হরতাল-অবরোধ-ধর্মঘট যাই থাকুক না কেন অফিসের কাজে ওকে ব্যাংকে কম-বেশী যেতেই হয়। অবরোধ চলছে, সকাল ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু এভিন্যু্থর একটা ব্যাংকে ওকে পাঠানো হলো। ব্যাংকের কাজ শেষ করে বের হতে ১০ বেজে গেলো। এমনি ঐটা গ্যাঞ্জামের এলাকা, পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের ইটাইটি শুরু হয়ে গেলো, মনে হয় ইটের বৃষ্টি হচ্ছে! আলমগীর মহা বাটে। সামনে-পিছনে, ডানে-বামে দৌড় দিল কিন্তু কোন লাভ হলো না। পুলিশ বেরিকেটের মধ্যে পড়ে গেলো। চালাক ছেলে, পুলিশকে তার আই.ডি কার্ড, অফিসের কাগজপত্র যা কিছু ছিল সবই দেখালো।
পুলিশ বললঃ তুই এদিকে দাঁড়ায় থাক।
মা-বাবা, ময়-মুরুব্বি, অফিসের বস এদের কথা অমান্য করা যায় কিন্তু পুলিশের কথা যায় না। আলমগীর দাড়িয়ে রইলো আধ ঘন্টা। এক সময় অফিসে ওর বসকে মোবাইলে কল দিলো, জানালো ওর অবস্থার কথা। এখন ঘটনা আরেক দিকে মোর নিয়েছে। পুলিশ ওর মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়েছে।
- তুই ফোন করলি কেন ? [ লাঠি দিয়ে সটাং সটাং বারি দিলো কয়েকটা]
- স্যার, আমি এখানে অফিসের কাজ নিয়া আসছি .... বিপদে-আপদে পড়লে অফিসে জানাইতে হইবো না।
আলমগীর এখন পুলিশের ভ্যানে, ওর সাথে এরকম আটককৃত আরো অনেকেই আছে। বিজয় নগর মোরে ভ্যান থেকে ওকে নামিয়ে দিলো পুলিশ।
ঘটনাঃ ০৮ জানুয়ারী ২০০৭, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:০৬