বাগদাদে তার প্রাসাদের অদূরে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কারাগারে জীবনের অনত্দিম মুহূর্তের অপেক্ষায় সাদ্দাম হোসেন। সাবেক ইরাকি প্রেসিডেন্টের জীবনের এই শেষ কয়েক ঘণ্টা ঢাকা পড়ে গেছে কর্তৃপক্ষের কঠোর গোপনীয়তা আর সংবাদ মাধ্যমগুলোর জল্পনায়। এপি।
প্রায় তিন দশক ধরে শক্ত হাতে ইরাক শাসক করা এই লৌহমানবকে মানবতার বির"দ্ধে অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃতু্যদণ্ড কার্যকর করার চূড়ানত্দ রায় দেওয়া হয় গত সপ্তাহে।
সাদ্দামকে সত্যি সত্যি যুক্তরাষ্ট্র ইরাকি কর্তর্ৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে কিনা তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী খবরের মধ্যে দ্র"ত ঘনিয়ে আসে তার ফাঁসির সময়। আর এ নিয়েই যতো জল্পনা-কল্পনা।
শনিবার থেকে ইরাক কুরবানির ঈদ উপলক্ষে এক সপ্তাহের লম্বা ছুটি শুর" হচ্ছে। ইরাকি আইনে ছুটির সময় ফাঁসি কার্যকরের বিধান নেই।
কিন' যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট আল হুররা টেলিভিশন কয়েকটি গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, টাইগ্রিস নদীর তীরে তৈরি করা 'গ্রিন জোনে' ফাঁসি কার্যকরের শেষ প্রস'তি সারতে ব্যসত্দ রয়েছেন কয়েকজন শ্রমিক।
সাবেক প্রেসিডেন্টকে ইরাকি কর্তৃপক্ষের কাছে হসত্দানত্দর করা হয়েছে বলে প্রচারিত খবর উড়িয়ে দিয়ে শুক্রবার রাতে একজন আমেরিকান কর্মকর্তা বলেন, 'তিনি এখনো আমাদের হেফাজতে আছেন'।
আইনগতভাবে সাদ্দাম ইরাকি কর্তর্ৃপক্ষের হেফাজতে থাকলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে শেষ মুহূর্ত পর্যনত্দ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যদের পাহারায় থাকবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছিল। সাদ্দামের আইনজীবীরা এক তথ্য দিয়েই সব জল্পনায় ঢেলে দেন ঘি।
এক আইনজীবী বলেন, তাকে সাদ্দামের ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে আসার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাদ্দামের ভাইয়েরা তার সঙ্গে দেখা করেছেন। ফাঁসি কার্যকরের আগে আসামিদের এটি একটি স্বীকৃত অধিকার।
অন্য আরেক আইনজীবী জানান, সাবেক ইরাকি প্রেসিডেন্টকে দেওয়া ছোট্ট রেডিওটি ফেরত নেওয়া হয়েছে। কয়েক মাস আগে তাকে রেডিওটি দেওয়া হয়েছিল। আসলে তখনই তিনি বুঝে ফেলেন, তার সময় শেষ।