১. হাল চাষের গান
বলদ হাঠরে হাঠরে বলদ হাঠ
বেলা অইছে আড়াই পহর
তিতাইয়া দে পাঠ
বলদ হাঠ
হাঠ হাঠ হুররে টাইট টাইট
খুট পাত্তলে
বেলা অইলো আড়াই পহর
পেডে নাগছে ক্ষিদা
বদ্ধিরাজের শুকনা নাঙল
রেখ লইয়া সিধা।
হাঠ হাঠ হুররে
ডাইনে ডাইনে বায় হুর হুট হুট।।
নাঙলের না খুটতে মাটি
ভাঙলো জোয়ালের পইল
মই না দিতে দিতে
বেলা আড়াই পহর হইল।
বাজাইল ক্ষেতের শুকনা ইঠা
ইঠায় ভাঙলো মই
হ্যামাল চইয়া বন বাচলাম
তে-চাষ কেমনে চই।
ত্বরিত পায়ে হাঠরে বলদ
পেডে নাগছে ভুখ
তুই বিনে আর এ জগতে
বুঝবে কে মোর দুখ।।
২. ধান মাড়াইর গান
ও মন ধান মাড়াই রে গরুতে হানজুর দিয়া
বড্ডা বলদ ডাইনে জুড়ি গাইডা জুড়ি মেইয়া।।
তি শ টেহার হারডা রে ভাই মধ্যহানে জুড়ি
বড় ভাইছাবে হানজুর খ্যাদায় আমি কাডি মুরি
একটা মাড়াই দিয়া পরে ঝারি মাড়াইর তলা
চারিদিকের ধান টানিয়া মধ্যে করি খলা।।
ঝরড়ে মাড়াই পৌষের শীতে ঘাম ঝরে গা বাইয়া
বুইরা বাজান রঙ দেখে উসারাতে বইয়া।।
বাজাইল ধানের বিশাল মাড়াই কাতার ধরি তিন
ওদখ দেখা দেয় মুরি কাডি কাতার ধরি ভিন।।
মাড়াই শেষে উঠানে দেই বিশাল ধানের ঝাঁক
দেইখ্যা সবার পরাণী হয় খুশি বাক বাক।।
[তথ্যসূত্র: হাবিবুল্লাহ, সুশীল ও ইসলাম উদ্দিন, সান্দিকোণা, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা]
সৌজন্য: হযরত আলী দেবল