somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবারো পাঁচ...সাদিকের অনুরোধে আবারো ঢেকুর !!!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ৩:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাদিকের অনুরোধে আরেকটি পাঁচ নামাইলাম, নিজের ব্লগ যেহেতু তাই কারো কোন কিছু কওনের নাই আর প্রথম পাতায় কিছু ক্ষণ থাকলেও আশা করি আপনেরা খুব বেশি বিরক্ত হইবেন না।

1.
5 বছর বয়সে আমার জীবনে প্রথম দূর্ঘটনা আসে। স্কুলের ছাদের উপর থেইকা লাফ দিয়া সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান খেলতাম...তো ঐ দিনও যখন খেলতে আছিলাম.., আমার বন্ধু রিদওয়ান হঠাৎ পিছন থেইকা ধাক্কা দেওনে ব্যালানস হারাইয়া পরলাম বালির উপরে। পরনের পরেই কট কইরা একটা আওয়াজ, তারপর তো আর হাত সোজা হয়না। স্কুলের টিচাররা আর বিশেষ কইরা আমাগো গেমটিচার আযম স্যার রীতিমতো হুড়াহুড়ি শুরু করলো আমারে নিয়া। বাড়িতে ফোন, দারওয়ান চাচারে পাঠানো এইসব করতে করতেই আমারে শিশু হসপিটালে লইয়া গেলো। আমি সেইখানে আমার ছবি আঁকছিলাম একটা। বাম হাত ভাঙ্গা ছবি। আমার মায়ের সংগ্রহে আছে ঐটা এখনো। আর আরেকটা কথা রিদওয়ান ঐটা করছিলো আমার উপরে খেইপা...অর মায় আছিলো আমগো বাংলার টিচার মিসেস কবীর...সে ক্যান আমারে বাংলায় বেশি নাম্বার দিতো এইটা ছিলো আমার অপরাধ!

2.
বাপ-মায় গেছে আজমীর শরীফ। বাড়িতে গার্জিয়ান হইলো আমার ছোট ফুফু। আমার হাতে কিছু টাকা দিছিলো মা যাওনের আগে। তো সবই ঠিকঠাক চলতাছিলো...তিনদিন পরেই আমার অবাধ্য আমি জাইগা উঠলো তার মতন কইরা। স্কুল থেইকা ফিরাই কাউরে না কইয়া রওয়ানা দিলাম রায়েরবাজারের দিকে। মুক্তি হল চিনছি তার কয়েক মাস আগে কাজের ছেলেটার লগে বাজারে যাওনের পথে। তারপর সবাইরে টেনশনে রাইখা 6টা-9টা শো...রোজিনার দুনিয়াদারী...আমার প্রথম পালাইয়া সিনেমা দেখা।

3.
শব-ই -বরাতরে আমরা ঢাকাইয়ারা দেখতাম আনন্দ উৎসবের মতোন। রাইতভর বিরিয়ানি/তেহারী খাইতে মসজিদে মসজিদে রাত্রিযাপন। বোম ফুটানি। তো ঐবার সামরিক জান্তা ক্ষমতায়। কড়া নজরদারী। তারমধ্যে ভারতে নাকি বাবরী মসজিদ সহ আরো 9টা মসজিদ ভাঙছিলো...তার প্রতিবাদে মুসল্লীরা ভারতীয় হাই কমিশন ঘেরাও কইরা ইটাইটি শুরু করছিলো। আমি আর আমার এক বন্ধু লালবাগ থেইকা সোররা, গন্ধক আর ঝিল্লী নিয়া আইতেছি...পথিমধ্যে খাইলাম ধরা। ঐ আমার প্রথম হাজতবাস। পরের দিন জামিনে মুক্তি। বাপ আছিলো না দেশে...মায় পুরা পুরান ঢাকা লইয়া হাজির হইছিলো থানাতে। এই দেইখা ওসি তো ভাবছে বড় পার্টি! সংঘবদ্ধ বোমাবাজ চক্রের অংশ হিসাবে কেস ঠুইকা দিছিলো।

4.
নেশা যখন করতাম তার শেষ দিকের অভিজ্ঞতা...ড্রিম আর রিয়েলিটি গেছিলো গুলাইয়া...চোখ বন্ধ করলে যা দেখি তার লগে বাস্তবতারে ফেলি গুলাইয়া...আমি ঢাকা মেডিকেল হোস্টেলের ফজলে রাব্বী ভাইয়ের রুমে নিজেই নিজের ডেথ নোট লিখছিলাম...যেই স্বপ্নের পর ঐটা লেখা সেইটারে এখনো আমার দেখা সেরা স্বপ্ন অনুভূতি গুলির একটা হিসাবে বিবেচনা করি।

5.
তখন একজনের প্রেমে পইরা হাবুডুবু খাইতেছি...কেন প্রেমে পরছিলাম তা আজো ভাবতে পারি না। তার ব্লগ পইড়া আমি রীতিমতো মর্মাহত হইয়া তারে পছন্দ করতে শুরু করি। অদ্ভুত ছিলো তার ভালোবাসার ক্ষমতা। দুঃখে ভারাক্রান্ত থাইকাও পুরাতন প্রেমিকের প্রতি তার অপরিসীম নির্ভরতা আমারে রীতিমতো উদ্্বেলিত কইরা ছাড়ছিলো। কিন্তু তারে এই কথা জানানের পর সে আমারে না কইয়া দিলো...সেই সময় আমার পরিচয় মৌসুমের সাথে...দিনের পর দিন রাতের পর রাত আমরা নিজেদের সকল গোপন শেয়ার, সকল স্বপ্ন বিনিময়...মৌসুম আমারে আমার শৈশবের সমস্ত সমৃতি ফিরাইয়া দিলো কয়দিনেই। আমরা 21 দিন টানা ডেইট মারলাম...একদিন নূর ভাই, মানে আমার অফিসের ডিএমডি আমারে ধরলো অফিস বাংক মারা অবস্থায়। যাউগ্গা অনেক বাধা বিপত্তির পর আমরা একলগে থাকতেছি। আমার জীবনে আমি এইরম পিছুটান নিয়া থাকিনাই আগে। ভালোবাসার অন্য সীমানায় আমি আছি আমি। আমার জীবনে মায়ের পর এই প্রথম আর কারো জন্য আমি শুণ্যতা অনুভব করি। অনেক ভালো আছি...ঠিক যেইরম থাকনের স্বপ্নআমি দেখি ঠিক সেইরম!!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ৩:১৭
১৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×