নানা ঘটনা প্রবাহে 24 শে আগষ্ট জেনারেল শফিউল্লাহ ও এয়ার ভাইস মার্শাল এ. কে. খন্দকারের চাকুরী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয় এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান ও এয়ার ভাইস মার্শাল এম. জি. তাওয়াবকে বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
মাহবুবুল আলম চাষী রাষ্ট্রপতির প্রধান সচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্টের নতুন সামরিক সচির হলেন লেঃ কর্ণেল আমিন আহমেদ চৌধুরী। এ. বি. এস. সফদর এন এস আই -এর ডিরেক্টর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেলেন। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্য সচির রাজাকার বাহিনীর সৃষ্টিকর্তা ও রাও ফরমান আলীর ঘনিষ্ট ব্যক্তি শফিউল আজমকে ক্যাবিনেট সচিব হিসাবে নিয়োগ করা হলো। কেরামত আলী হলেন সংস্থাপন সচিব। আর আইয়ুর-ইয়াহিয়ার প্রিয় ব্যাক্তি কাজী আনোয়ারুল হক হলেন রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা।
জেনারেল (অবঃ) এম. এ. জি. ওসমানী প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাকের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবের দ্্বিতীয় বিপ্লবকে সমর্থন করেছিলেন অথচ তাঁর হত্যাকান্ডের পর তিনি খোন্দকার মোশতাককে অভিনন্দন জানালেন।
অন্যদিকে গোলাম আযম জেদ্দা থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে উল্লসিত হয়ে নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহবান জানালেন। খাজা খায়েরউদ্দিন, মাহমুদ আলী অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিলেন- আর হামিদুল হক চেীধুরী অভিনন্দন জানিয়ে পত্র লিখলেন খোন্দকার মোশতাককে। ভুট্টো বাংলাদেশকে 50 হাজার টন চাল ও এক কোটি 50 লক্ষ গজ কাপড় উপঢৌকন পাঠালেন। সেীদি আরব ও সুদান 16 আগষ্ট আর চীন 31শে আগষ্ট বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
তাজউদ্দীন 22শে আগষ্ট নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার হন। সৈয়দ নজরুল ইসলামও গ্রেফতার হন সরকারী বাসভবন থেকে। প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলী আত্মগোপন করেন। কিন্তু ওবায়দুর রহমান ও শাহ মোয়াজ্জেম কর্তৃক আশ্বস্ত হয়ে তাঁর ছেলেরা আব্বার সঙ্গে যোগাযোগ করে দেন। মোশতাকের মন্ত্রীসভায় প্রধানমন্ত্রী হতে অস্বীকার করায় 17ই আগষ্ট মনসুর আলীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হলো। কোরবান আলী, আব্দুস সামাদ আজাদ, কামরুজ্জামান সহ 20 জন নেতা 23শে আগষ্ট নাগাদ গ্রেফতার হলেন। 25শে আগষ্ট গ্রেফতার হল তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক এবং জিল্লুর রহমান।
লেখাটি এম. আর. আখতার মুকুল সম্পাদিত আমিই খালেদ মোশাররফ গ্রন্থ থেকে নেওয়া।