৪: আল্লাহ কোন ব্যক্তির দেহাভ্যন্তরে দু'টি হৃদয় রাখেননি। তোমাদের যেসব স্ত্রীকে তোমরা 'যিহার' করো তাদেরকে তোমাদের জননীও করেননি এবং তোমাদের পালক পুত্রদেরকেও তোমাদের প্রকৃত পুত্র করেননি। এসব তো হচ্ছে এমন ধরণের কথা যা তোমরা স্বমুখে উচ্চারণ করো, কিন্তু আল্লাহ এমন কথা বলেন যা সত্য এবং তিনিই সঠিক পথের দিকে পরিচালনা করেন।
৫: পালক পুত্রদেরকে তাদের পিতার সাথে সম্পর্কিত করে ডাকো। এটি আল্লাহর কাছে বেশি ন্যায়সংগত কথা। আর যদি তোমরা তাদের পিতৃপরিচয় না জানো, তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই এবং বন্ধু। না জেনে যে কথা তোমরা বলো সেজন্য তোমাদের পাকড়াও করা হবে না, কিন্তু তোমরা অন্তরে যে সংকল্প করো সেজন্য অবশ্যই পাকড়াও করা হবে। আল্লাহ ক্ষমাকারী ও দয়াময়।
৬: নিঃসন্দেহে নবী ঈমানদারদের কাছে তাদের নিজেদের তুলনায় অগ্রাধিকারী, আর নবীদের স্ত্রীগণ তাদের মা। কিন্তু আল্লাহর কিতাবের দৃষ্টিতে সাধারণ মু'মিন ও মুহাজিরদের তুলনায় আত্মীয়রা পরস্পরের বেশী হকদার। তবে নিজেদের বন্ধুবান্ধবদের সাথে কোন সদ্ব্যবহার (করতে চাইলে তা) তোমরা করতে পারো। আল্লাহর কিতাবে এ বিধান লেখা আছে।
৭-৮: আর হে নবী! স্মরণ করো সেই অংগীকারের কথা যা আমি নিয়েছি সকল নবীদের কাছ থেকে, তোমার কাছ থেকে এবং নূহ, ইবরাহীম, মূসা ও মারয়াম পুত্র ঈসার কাছ থেকেও। সবার কাছ থেকে আমি নিয়েছি পাকাপোক্ত অলংঘনীয় অঙ্গীকার যাতে সত্যবাদীদেরকে (তাদের রব) তাদের সত্যবাদিতা সম্বন্ধে প্রশ্ন করেন এবং কাফেরদের জন্য তো তিনি যন্ত্রণাদায়ক আযাব প্রস্তুত করেই রেখেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ৩:১৩