somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পায়ের তলায় সর্ষে-2

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যে বাসটিতে উঠে বসলাম সেটি যাবে বকখালি। আমাদের যাত্রাপথের শেষে বকখালি পড়বে তা আমার জানা ছিল না। আমরা তো যাচ্ছি ফ্রেজারগঞ্জ! জিজ্ঞেস করে জেনে নিলাম, বাস আমাদের নামিয়ে দিয়ে চলে যাবে বকখালি। সকালবেলায় যখন বাসের টিকিট কাটা হচ্ছিল তখন দীঘার বাসের কাউন্টারও চোখে পড়েছিল, আমার মন ওদিকেই টানছিল কিন্তু একদিনের জন্যে গিয়ে পোষাবে না ভেবে কিছু বলিনি। তো সামনে বকখালি আছে জেনে মন আরও খানিকটা ফুরফুরে হয়ে গেল। ফ্রেজারগঞ্জে কি আছে সকালে জিজ্ঞেস করে জবাব পেয়েছিলাম, চল না ভাল লাগবে! বাসে আরেকবার জিজ্ঞেস করে জেনেছি ওখানে মোহনা। ভাল লাগবে শুনে নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম, এখন আরেকটু উত্ফুল্ল হলাম।


যে বাসটিতে উঠেছি সেটা এক মজার বাস। বাস ষ্ট্যান্ডে আসামাত্রই চোখে পড়েছে একটি সাদা অ্যাম্বাসেডর দাঁড়িয়ে আছে, আমাদের দেখেই তার চালক এগিয়ে এসেছিলেন, যাবেন দাদা, বকখালি , চলুন। তো সেদিকে পাত্তা না দিয়ে বাসের কাছে এগোতে দেখা গেল বাসে শুধু দাঁড়ানোর জায়গা বাকি আছে, কন্ডাক্টর তাও বলছে, উঠে পড়ুন, সামনেই খালি হয়ে যাবে! আমি দাঁড়িয়ে যেতে কিছুতেই রাজী নই তাই সে বাসটি ছেড়ে দিয়ে পরের বাসে এসে উঠে জুত করে বসেছি। বসেই স্বস্তি বোধ করলাম, যে এই বাসে অন্তত সিটের পেছনটা এতখানি উঁচু যাতে মাথা রেখে আরাম করা যাবে! এতক্ষণ যে বাসে এসেছি তাতে এই সুবিধেটুকু ছিল না ফলে ঠায় ঘাড় সোজা করে বসে থাকতে হয়েছে। বাসখানি 'কাডইল্যা বোঝাই' ( কাঁঠালে বোঝাই ) না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে আর তারপর হেলতে দুলতে শুরু করেছে চলা। সে এক মজার চলা। প্রতি দু মিনিট অন্তর সে থামে, লোক নামে ধীরে সুস্থে, কোন তাড়া নেই একেবারেই নামার কিংবা ওঠার! বাড়ির উঠোন থেকে লোকে হাত দেখায়, বাস থামে, রাস্তা পেরিয়ে তাঁরা এসে ওঠেন বাসে! স্ট্যান্ড থেকে বাস ছাড়ার পর চালক পাঁচ মিনিট অন্তর থেমে থেমে তিন জায়গা থেকে তিনবারে তিনখানি টিফিন ক্যারিয়ার সংগ্রহ করলেন আর তারপর মন দিলেন গাড়ি চালানোয়, গজগামিনী চালে! মাঝে মাঝে হাঁক দিলেন, এই তোমরা ওঠা নামার জন্যে এত চিন্তাভাবনা করলে পড়ে যাবে যে!


যেখানে বাস আমাদের নামিয়ে দিল সেটি এক ধু ঁধু ঁরাস্তা। আমি ভেবেছিলাম ছোটখাট কোন গঞ্জে নিশ্চয়ই যাচ্ছি। কিন্তু যেখানে নামলাম সেখানে রাস্তার পাশে শুধু একটা নামফলক ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ল না। রোদ বেশ চড়া, ঘাম না হলেও রোদ খুব একটা সহনীয় নয় আর এমন একটা জায়গায় নেমেছি যেখানে দোকানপাট, বাড়ি ঘর তো দূরের কথা দূর দূর অব্দি কোন মানুষ পর্যন্ত চোখে পড়ছে না। রাস্তার বাঁদিকে কিছু কুড়েঘর চোখে পড়ল আর ডানদিকে দূরে দুটি পাকাবাড়ি। সেদিকেই এগোতে চোখে পড়ল সেগুলো আসলে হোটেল। দুটি বাড়ির মাঝে এক বিশাল ফাঁকা মাঠ যাতে গরু চরছে। দুটোর মধ্যে একটি বেছে নিয়ে সেখানে নিশ্চিন্তে ঢুকে গেলাম ঘর পাওয়া যাবেই ধরে নিয়ে! এখানে যে লোকে ভুল করেও আসে না আমার সেই ধারণা বদ্ধমূল ততক্ষণে। কিন্তু ভেতরে ঢুকতেই ভুলটা ভেঙে গেল, প্রায় প্রতিটি ঘরেই লোক আছে দেখা গেল, কোন রুমের দরজা খোলা তো কোন রুম থেকে আসছে টিভির আওয়াজ! ঘর পাওয়া গেল, দোতলায়। সে দোতলার ঘরই চেয়েছিল, পাওয়া গেল। বেশ বড় ঘর, পাশাপাশি দুটো দরজা দেখে এগিয়ে গিয়ে একটা খুলে দেখা গেল ছোট্ট একফালি বারান্দা, যার ওপাশে সেই খোলা মাঠ, যাতে গরু চরছে। মাঠের ওপাশে আরেকটা পাকা বাড়ি, সেটিও একটি হোটেল। দ্বিতীয় দরজাটি খুলতে দেখা গেল ওটি বাথরুম, বেশ ঝকঝকে, পরিস্কার। ডানদিকের দেওয়াল জোড়া আয়না, মাঝঘরে এক খাট, মাথাটা দেওয়ালে ঠেকানো। ঘরে ঢোকার দরজার বা ঁপাশের দেওয়াল ঘেঁষে রাখা আছে এক আলমীরা আর এক টেবিল, যার মাথায় এক ছোট্ট রঙীন টিভি। কাঁধের ব্যাগ ফেলেই হুকুম হল ঝটপট স্নান সেরে নাও নদী দেখতে বেরোব। খাব কোথায় ভাবছিলাম তখন বেয়ারা এসে জিজ্ঞেস করল, আপনারা কি খাবেন বাবু? যদি খান তাহলে রেঁধে দেওয়া হবে! ফ্রীজে পমফ্রেট আর পার্শে মাছ আছে। তিনি আমার দিকে তাকালেন, রেঁধে দেবে মনে তো দু ঘন্টার গল্প! দিনের আধবেলা তো পার পৌঁছুতেই। বেয়ারা ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করে জেনে নেওয়া হল, খানিক এগিয়ে গেলেই একটা খাওয়ার হোটেল চোখে পড়বে আর তা নইলে যেতে হবে বকখালি!

খাওয়ার ভাবনা আপাতত বাদ দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম নদীর উদ্দেশ্যে। কোথাও কোন মানুষ নেই, অদ্ভুত এক নীরবতা চারিদিকে! ভীষণ ভালো লাগায় ভরে গেল মন। হোটেল থেকে খানিকটা এগিয়েই পিচ রাস্তা ছেড়ে ডানদিকে একটা ইটের রাস্তা ধরে এগোতেই চোখে পড়ল ডাঁনদিকে একটা ছোট্ট জলা। যে হোটেলে আমরা উঠেছি এটা হোটেলের ঠিক পেছনে। রাস্তার পাশেই জলা আর তাতে বসে আছে অজস্র বক! ছোট, বড় সব রকমের বক। এদিক ওদিকে দেখতে গিয়ে দেখলাম ঠিক রাস্তার পাশেই যেখানে জলাটা শুরু হয়েছে সেখানে বসে আছে দুটো বালিহাঁস! এখানে বোধ হয় কেউ পাখিদের বিরক্ত করে না তাই তারা মানুষকে ভয় পায় না। নিশ্চিন্ত মনে বালিহাসদুটো বসে আছে পাশাপাশি। আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম সেখানেই। আরও দূরে দেখলাম এরকম বেশ কিছু হাঁস বসে আছে জোড়ায় জোড়ায়। এই জলাতেও আছে শাপলা, কিছু ফুটে আছে কিছু শুধু লম্বা ডাঁটি উপর দিকে উঠছে। পাখি দেখে নিয়ে আবার এগোলাম। আমার খুব দু : খ হচ্ছিল আমি ক্যামেরা সাথে নিয়ে যাইনি বলে! রাস্তার একদিকে কিছু মাটির বাড়ি, খড়ের চালের। আর একদিকে জলা, দুপাশেই আছে প্রচুর ফনিমনসা।

খানিক এগিয়ে যেখানে পৌঁছুলাম সেটা এক জেলেপাড়া। শুকনো মাছের ঝাঁঝালো গন্ধ চারপাশে। দূরে সমুদ্র চোখে পড়ছে এখান থেকেই। জেলেপাড়াটা খুব বড় নয়, অল্প কয়েকঘর লোকের বাস। ডাঙায় ভাঙা নৌকো চোখে পড়ছে আর দেখলাম প্রচুর শুটকি। বালির উপরে মাছ জাষ্ট বিছিয়ে শুকানো হচ্ছে। চিংড়ি আর লটেই প্রধানত, অন্য মাছও আছে তবে খুব কম। দু একটা চায়ের দোকানও চোখে পড়ল যাতে ছোট্ট কাঁচের শোকেসে কিছু চিপসের প্যাকেট কিছু বিস্কুটের প্যাকেট আর নিচে রাখা আছে কিছু ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। প্রতিটি দোকানেই আছে কাঁচা মাছ, ঝাঁকায় রাখা। সকালেই হয়ত সমুদ্র থেকে ধরে আনা হয়েছিল, বিক্রীর পরে যা রয়ে গেছে। অপেক্ষা, যদি এগুলো ও বিক্রী হয়ে যায়। একান্তই যা পড়ে থাকে সেগুলো শুকিয়ে শুটকি করা হবে। যে মাছগুলো ঝাঁকায় আছে সেগুলো দেখলেই বোঝা যায়, মাছগুলো খুব একটা তাজা নেই আর, হয়ত আগের দিন রাতের মাছ। ব্যপারী তার পছন্দের মাছ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এগুলো পড়ে আছে। পাশেই প্লাষ্টিকের লাল, নীল বক্স দেখতে পেলাম, যাতে করে বরফ দিয়ে মাছ রাখা হয়। এখন মাছে বরফ দেওয়া নেই। হলদে তপসে লাল চিংড়ি, রুপোলী পার্শেরা সব মিইয়ে পড়ে আছে ঝাঁকায়, খদ্দেরের আসার আশায়। কোথাও কোথাও মহিলারা বসে মাছ বাছছেন, আলাদা করছেন একটু ভাল মাছগুলো, হয়তো বা রান্নার জন্যে, বাদবাকি সব শুকিয়ে ফেলা হবে। একটাই ঘরের সামনের দিকটায় দোকান আর ভেতরের দিকটায় তাঁর গেরস্থালী। একমনে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন সব। বাইরের লোক সম্পর্কে এঁদের আগ্রহ খুব কম মনে হল, সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত, কে এলো কে গেলো তাকানোর ফুরসত কিংবা ইচ্ছা দেখলাম না কারোরই। শুটকি কেনার প্রবল বাসনা মনেই চেপে রেখে আপাতত আমি সামনে তাকাই।

পেছনে ঐ জেলেপাড়া পেরিয়ে আসার সময় চোখে পড়েছে ইয়া উঁচু থামের উপর বিশাল বিশাল তিন ব্লেডের ফ্যান! উঁচু টাওয়ারের মত দেখতে, কিন্তু টাওয়ার নয় ওগুলো। সে জানাল, ওগুলো বাতাসিয়া বিদ্যুত্ প্রকল্প! বাতাস এলেই ওগুলো ঘুরতে আরম্ভ করে, পাশেই ছোট ঘর আছে, মেশিন ঘর। সাধারণ বিদুত্এর খুটি যেমন পাশাপাশি পরপর থাকে, এও ঠিক তেমনি আছে। পাশাপাশি, একের পর এক। অবাক হয়ে ভাবছিলাম, আমার দেখার আর জানার জগত্ কত ছোট! আমি যেদিকেই তাকাই, যা দেখি তাই যেন ভাল লাগে। এক আশ্চর্য ভাল লাগায় ভরে আছে মন।

জেলেপাড়ার ডানদিকে এক পুরনো ভাঙা বাড়ি। ছাল-চামড়া ছাড়ানো ইটের দেওয়াল-ছাদই শুধু আছে অবশিষ্ট, দরজা-জানালা কিছুই নেই। চারপাশে বেশ বড় বড় ঝাউগাছ, অনেকটা যেন ঘিরে রেখেছে বাড়িটাকে। সে জানাল, এখানে ওরা শ্যুটি ংকরতে এসেছিল, ঐ বাড়িটাতে। আরও জানাল, এটা ফ্রেজার সাহেবের বাড়ি, যার নামে এই জায়গার নাম ফ্রেজারগঞ্জ। এই বাড়িতেই নাকি সাহেব থাকত, নারায়ণীকে নিয়ে। নারায়ণী জেলেদের মেয়ে, বছর পনেরর এক কিশোরী। সাগরতীরে ঝাঁকা থেকে তুলে তুলে মাছ শুকোতে দিচ্ছিল একদিন তখন সাহেব তাকে দেখতে পায়, জাহাজ থেকে। সাগরপথে সাহেব যাচ্ছিল কলকাতার দিকে। নারায়ণীকে দেখে থমকে যায় সাহেব। অপরূপ সুন্দরী এক মেয়ে, মাছ শুকোতে দিচ্ছে বালিতে, যেন এক মত্সকন্যা। সাহেবের ছোট্ট জাহাজ তীরের দিকে এগোতেই নারায়ণী দেখতে পায় আর ত্বরিত্এ উঠে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় ওখান থেকে, মাঝের ঝাঁকা, মাছ ফেলে দিয়েই। সাহেব এসে বসে মাছের কাছে, নারায়ণীর অসমাপ্ত কাজ সাহেব শেষ করে, একটা একটা করে মাছ শুকোতে দেয় বালিতে। তারপর অপেক্ষা করতে থাকে নারায়ণীর, কখন ফিরবে নারায়ণী।

নারায়ণী ফেরে না। বেলা বয়ে যায়, মাছ নিয়ে কি করবে ভেবে না পেয়ে সাহবে তার লোক লস্করকে হুকুম করে, ঐ জেলেনীকে খুঁজে আন! মাছগুলো যে সব নষ্ট হয়ে যাবে! সাহেবের কথা কিছু বুঝে কিছু না বুঝে তার লস্কর ছোটে নারায়ণীকে ধরে আনতে। খুঁজতে খুঁজতে গ্রামে গিয়ে হাজির হয়, এবাড়ি ওবাড়ি খুঁজে ঠিক তারা নারায়ণীকেও খুঁজে বের করে। নারায়ণীকে তারা বলে, চলো, সাহেব তোমাকে চেয়েছে! নারায়ণীর বাড়িতে ততক্ষণে জড় হয়েছে গ্রামের সব লোক। মাতব্বরে এসে জিজ্ঞেস করে, কে সাহেব? তোমরাই বা কে? তারা জবাব দেয়, ঐ গোর সাহেব, এই মেয়েটাকে চেয়েছে, আমাদের বলেছে, ওকে নিয়ে যেতে! ততক্ষণে গ্রামের লোকেদের হাতে উঠে এসেছে লাঠি-সড়কি। তারা আক্রমণ করে সাহবের লস্করকে, আচমকা আক্রমণে ভড়কে যায় সাহেবের লস্কর, প্রতিরোধের চেষ্টাও করে না তারা, নিজেদের বাঁচানোর জন্যে পালিয়ে যায় এদিক ওদিক। গ্রামের লোক এবার এগোয় সাগরের দিকে, সাহেবের খোঁজে। তখন সন্ধ্যে ঘনিয়েছে, নারায়ণীর জন্যে অপেক্ষা করে করে সাহেব অবশেষে নিজেই শুকোতে দেওয়া মাছ আবার ঝাঁকায় তুলে রাখে, রাতে হিম পড়লে মাছ খারাপ হয়ে যাবে বলে। গ্রামের লোক এসে সাহেবকে আক্রমণ করে, মেরে অজ্ঞান করে দেয় সাহেবকে। মরে গেছে ধরে নিয়ে গ্রামের লোক চলে গেলে সাহেব পড়ে থাকে ওখানেই, অচেতন। চারপাশে ছড়িয়ে থাকে নারায়ণীর মাছ। প্রাণ বাঁচাতে লস্করেরাও ভেসে পড়েছে সমুদ্রে।

নারায়ণী মাছের খোঁজে সাগরতীরে এলে দেখতে পায় ছড়ানো ছিটানো আধশুকনো সব মাছের মাঝখানে সাহেব পড়ে আছে, অজ্ঞান। নারায়ণী সাহেবকে টেনে নিয়ে আসে গ্রামের বাইরের এক কুড়েঘরে। সেবায় শুশ্রুষায় ধীরে ধীরে সেরে ওঠে সাহেব। দুজনের মধ্যে জন্ম নেয় এক গভীর ভালবাসা, সে এক মস্ত গল্প। নারায়ণী সাহেবের কাছেই থেকে যায় সাগরতীরের ঐ কুড়েতে। সাহেব সেখানে এক বাড়ি বানায়। ইটের বাড়ি। চারপাশে ঝাউবন মাঝে মাঝেই ফনিমনসার ঝোপ। সামনে বিস্তৃত বালুরাশির ওপারে খোলা সমুদ্র। সাহেব আর নারায়ণী দুজনে থাকে সাগরতীরের ঐ ছোট্ট একতলা বাড়িতে। ফ্রেজার সাহেব শুরু করেন মাছের ব্যবসা। আরও সব পাকা বাড়ি হয়, সংসার হয় এইভাবে একসময় তৈরি হয়ে যায় ফ্রেজারগঞ্জ।

আমি বাড়ির দিক থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকালাম, সমুদ্রের দিকে। সামনে বিস্তৃত বালুরাশি। ভাটার টানে সমুদ্র অনেকটা দূরে, তার এমনকি গর্জনও শোনা যায় না অথচ আমি দাঁড়িয়ে আছি সমুদ্রেরই সামনে! এত শান্ত সমুদ্র! কথাটা বলতেই সে বলল, এ ঠিক সমুদ্র নয়তো, মোহনা। একটু ডাঁনদিকে এগিয়ে গেলেই দেখতে পাবে নদী! আমি সেদিকে কান না দিয়ে এগিয়ে গেলাম সমুদ্রের দিকে। কি অসম্ভব নীরব চারদিক, বাতাসও নেই যে শব্দ হবে। পেছনের ঐ জেলেপাড়ায় এমনকি একটা রেডিও ও চালায় না কেউ! বিচে আমরা ছাড়া আর কোন মানুষ নেই। ধু ধু বালুরাশিতে পা ডুবে যায়। মৃদু একটা আওয়াজ এতক্ষণে কানে এল। জলের শব্দ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ১:১০
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

বামিঙ্গিয়ান উপাখ্যান

লিখেছেন যুবায়ের আলিফ, ১০ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০




মাঝ রাতে কড়া একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভাঙলো জ্যাকের৷ ঘুমের ঘোরে দেখতে পেল কেউ চোখ ধাঁধানো পোষাক পরে ডাইনিংয়ে একটা চামচ রেখে দরজা গলিয়ে চলে যাচ্ছে৷ গা ও পোষাকের উজ্জ্বলতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×