somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিবিরের মানবতা-2

১১ ই নভেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

2004 সালের 30 অক্টোবর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কলংকিত একটি দিন। ভোরবেলা ঘুমিয়ে ছিলাম। ডিপার্টমেন্টের এক ছোট বোনের ফোনে ঘুম ভাঙলো। কিরে কি খবর? ও বলল, ভাইয়া আমরা একটু আগ থেকেই ভিসির বাসা অবরোধ করে আছি। বললাম কি জন্য? কয়েকদিন ধরে নিয়োগ নিয়ে গন্ডোগোল চলছিল। ভাবলাম জন্য তো মেয়েদের ভিসির বাসা অবরোধ করার কথা নয়। ওবলল, কাল রাতে তাপসী হলে অস্ত্রধারী কয়েকজন যুবক ঢুকেছিল। তাই নিরাপত্তার দাবিতে ভোর বেলাতেই মেয়েরা ভিসির বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছে।
দ্রুত মুখ ধুয়ে বের হলাম। প্যারিস রোডে গিয়ে দেখি 4 হলের সমস্ত ছাত্রী ভিসির বাসার সামনে। শ্লোগান চলছে, নিরাপত্তা চাই।তারপরের সময়গুলো উত্তেজনা ছিলনা। তবে প্রশাসনের প থেকে কেউই ছাত্রীদের সামনে আসেন নি। বেলা সাড়ে 9টার দিকে ভিসি এলেন। ততণে চারপাশে ছাত্ররাও এসেছে। সবাই বিুব্ধ। ছাত্রীদের দাবি, প্রক্টর ও ওই হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ। ভিসি বললেন, বিষয়টি আমরা ভেবে দেখব। ছাত্রীরা তাদের দাবিতে অনড়। শেষ পর্যন্ত কোন সমাধান ছাড়াই ভিসি বিদায় নিলেন ঘড়ির দিকে তাকাতে তাকাতে। তার নাকি ওই দিন ফ্রানস যাবার কথা।
সাড়ে 10টার দিকে ঘটনাস্থলে এলেন বেশ কয়েকজন শিক। এদের মধ্যে বেশিরভাগই জামায়াতপন্থী। ততণে শিবিরের বেশ কয়েকজন ক্যাডার ও কর্মচারী এসে উপস্থিত হয়েছে ঘটনাস্থলে। ছাত্রীদের বললেন, এখান থেকে যাবি না শিবির ডাকবো। শুরু হলো ধাক্কাধাক্কি। এক শিক ধাক্কা দিলের আমাদের সহকমর্ী কামরুজ্জামান শাহীনকে। পরের এক সপ্তাহ ব্যাথায় ঘুমাতে পারেন নি শাহীন ভাই।
11টার দিকে হঠাৎ দেখলাম জামায়াতের ওই শিকরা ইট ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসছে ছাত্রীদের দিকে। এক মিনিটের মধ্যে রক্তাক্ত হয়ে উঠলো ভিসির বাসভবনের প্রধান ফটক। সক্রিয় হয়ে উঠলো জামায়াত-শিবিরের ওই শিক-কর্মচারী ক্যাডাররা।
আমি তখনও ঘটনাস্থলে। দেখলাম জামায়াতপন্থী শিক প্রফেসর নজরুল ইসলামের ইটের আঘাতে এক ছাত্রীর নাক ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটলো। এরকম অগনিত ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হলো ছাত্রীরা। আস্তে আস্তে পুরো ক্যাম্পাস হয়ে উঠলো রণত্রে। আহত শিাথর্ীদের আর্তনাদ, টিয়ারশেল, পুলিশের বাঁশিতে যেন দোজখে পরিণত হলো গোটা ক্যাম্পাস।
সেদিন প্রশাসনের সহযোগি শক্তি হিসেবে আর্বিভুত হলো শিবির ক্যাডাররা।
বিকেলে আধঘন্টার নোটিশে বন্ধ করে দেয়া হলো ক্যাম্পাস। রাতভর কেউ রেলস্টেশন, কেউ বাসস্ট্যান্ড কেউবা খোলা আকাশের নীচে রাত কাটিয়ে চোখ মুছতে মুছতে সকালে বাড়ি ফিরল। আর ক্যাম্পাস তখনও শিবির আর পুলিশের দখলে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির কখনও ইসলামের জন্যও নয়, ছাত্রদের জন্যও নয়, কেবল ধর্মের নামে আইওয়াশ করে , পা চাটা কুত্তার মত ওৎ পেতে বসে থাকে লাভের আশায়। ক্যাম্পাসের ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে সেদিন এমনই ছিল ভাষা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:০১
২২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×