somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কত ধরন মিশালে ডালে চালে ঝোলে উহাকে জগাখিচুড়ি বলা যাবে?

০৩ রা নভেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিরোনামে এক প্রশ্ন - দেখতেই পারছেন। আসলে হঠাৎ মনে কোনো এক কোন্ এ উত্থিত হলো-- ্তুজগাখিচুড়ি্থ শব্দটির বিশ্লেষন মূলক রূপ কি হবে? জগা মানে যে কি বস্তু হে কে জানে?। সেগুলান আসলে কোন কোন বস্তু যাদের সংগমের একাত্মতাকে বলা হবে জগা?

প্রশ্নের জগা থাক আপাতত ( পড়ে আবার ওদিকে মুখ ফিরাব) এবার মনের খিচুড়ি পাকাই কিছুক্ষণ।

্তু'কি হবে?'---- এরকম এক বাক্য মনে মনে সেই ক্ষুদ্র শিশু পরিচয় যখন ছিল তখন হতেই আষ্টেপিষ্টে বেঁধেছে আবার খুলেছে আবার বেঁধেছে আমায়। ঐ বাক্যর পরাবর্তন( পুনরাগমন) ঘটেছে , ঘটেছিল, ঘটতেছে এবং ঘটতেই থাকবে । বুঝেছি এবং ঐ বোধটাই আমার বুদ্ধি।

না জেতেনি । না ঐ বাক্য না আমি। ঐ বাক্য তো জেতেই নি। জিতলে কি আর নামের আগে প্রকৌশলী যুক্ত করার সত্য কিন্তু অপসাধ হয় মাঝে মাঝে । পড়ে কি হবে? ---- উত্তর ছিলনা। হেরে গেলাম। কিন্তু পড়তেই হলো। 'কি হবে' বাক্য মহাশয় খুব একটা সুবিধা করতে পারলনা।

মনে আসে ছোটবেলায় আম্মা কে যখনই বলতাম ওটা করি। , ওখানে যাই। মার সেই একই প্রশ্ন থাকত , কি হবে ? বলতে পারতাম না। হয়তো মার কথা শুনে অনেক কিছুই করো হতোনা । ক্ষোভ হত আবার অনেক সময় উপ্ক্ষো করে অবাধ্য সন্তান হয়ে করেই ফেলতাম কি হবে না ভেবেই।

মা এরা একটু বেশী ভক্ত কি হবে বাক্য খানার । আর আমা সম অবাধ্য ছেলেরা একটু কি হবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে থাকে। একটি সহজ উদাহরণ না হলে কি ঐ স্টেডিয়াম এ সরাদিন রোদে বসে প্রিয় কোন দুদলের খেলা দেখার দুঃখ কষ্ট জর্জরিত অভিজ্ঞতা থাকত ঝুলিতে। থাকত না। আমার মা সর্বদাই আমাকে মা না করতেন ও করেন ঐ মাঠে যাবার ব্যাপার এবং সেই কি হবে প্রশ্নে। উত্তর কিন্তু কখনই নেই আমার।

যার কারনে দেখা গেলো আজ অনেক অপূর্ণতা যেমন আছে বাধ্য সন্তান হয়ে সাথে আছে অনেক অতীত অভিজ্ঞতাও অবাধ্য হয়ে। এও কি এক জগাখিচুড়ি ? ইহার বড় দরকার সম্মুখে হন্টনের লাগি।

কি হবে? ----সর্বদাই নেগেটিভ সেন্স এ উত্তর যুগিয়েছে। আর তাই ওকে অত পাত্তা দেয়ার সাধ হয়নি। মানি তাতে জীবন নির্ঞ্ঝাট টাইপ করতে পারিনি মনে মনে অনেকটা গোছানোর পরও। কেননা----

একবার ভাবুন যদি , কবিতা লিখে কি হবে ? এর উত্তর দিতাম পজিটিভ সেন্স এ , হবে কবি হওয়া হবে লিখলে , অথবা যেহেতু লিখতে পারিনা ভাল , সময় ক্ষেপন হবে, নষ্ট হবে এই ভেবে । তাহলে আর লেখাই হতোনা।
( গোপনে বলি মানুষ কি কথায় আর কর্মে এক সমান স্ট্রেন্থ নিয়ে বাস করেনা---জানি সময় ক্ষেপন কেবল তবুও লিখেই চলেছি তো চলেছিই)।

কি হবে ব্লগে লিখে বারবার মনে আসে ...আসলেই তো কি হবে। এই লেখাটা হয়তো দুএকজন পড়বে , মন্তব্য করবে। হয়তো কেউ পড়বেই না। মন্তব্যও না। অথবা অনেকইে পড়বে। ভাল লেগেও যাবে কারও কাছে ভুলে বা দিলে। কিন্তু আদৌ তাতে কিছু কি হবে। ...ভাবতে গেলে তো আর পোষ্ট হবনো। মন যে চায়।

এটাই আসল কথা আমর মতো মন পাগলা মানুষের জন্য। মন যে চায়। মন যে চায় দেশের উন্নয়নের নামে আশার আলো বারোটা জ্বালিয়ে আন্দেলনের ধুয়োয় লুটানো বিশটা লাশ কে বিশটা মশার মত মনে মনে ভেবে অথবা ৩০০+ ব্রিফকেসে দেশের কি যেন(!) বিদেশে নিয়ে দেশপ্রেমের ছলনার ঠুলি জনচোখে পড়িয়ে (অথবা..অথবা...) দেশের বুকে পায়ের ময়লা জুতোর ছাপ দেয় লাথি মেরে মেরে তাদের কে গালি দিতে অকথ্য ভাষায়( চু..মারা...টাইপ) ।

গালি দিয়ে কি হবে? কিছুই হবেনা। যা হবার তাই হবে। তবু ও গালি দিলাম।

কাল এক বন্ধু এসেছিল চট্টগাম থেকে । সরাদিন দুজন ইচ্ছেমত সাগর পাড়ে ঘুরেছি আজ। দাপিয়েছি পর্যটনের সুইমিং পুলে ঘন্টাতিনেক। কি হবে ভাবিনি। জনতাম রাতে ঠান্ডা লাগবে। গায়ে ব্যাথা হবে। দূর শালা কি হবের মায়েরে চু..। পাত্তাই দিলাম না।

কষ্ট হলো ঈদের দিন রাতে কক্সবাজারে যে পরিমাণ লোক জন দেখেছি তার এক দশমাংসও আজ শুক্রবার ছুটির দিন নেই। শীত এর আগমনীতে সাগর যে কি সুন্দর বন্ধুত্বের ডাক দেয় না দেখলে বোঝানো যাবেনা। এ সময় অন্যান্য বছর লোকে লোকারন্য থাকে।

কেন নেই লোক ? --- পলিটিক্যাল অস্থিরতা। কখন কি হয়। ঈদের পরবর্তী সময় ত্রিশ হাজার লোক আটকা পড়েছিল ২৮ / ২৯ তারিখের সেই আন্দোলন আর রাজা রাণীর রাজকীয় খেলার মাঝে। ভ্রমন বিলাসী মানুষ গুলো ভেবেছে কিন্তু কি হবে। ...যারা ভাবেনি তারাই এসছে।
না আসাটাই সবাই বলবে এ অবস্থায় বুদ্ধিমানে কাজ।

তার মানে- কি হবে ? - এই বাক্যের সসম্মান দিলে কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ হয়।

কি হবে-- কে বারবার অসম্মান দিয়েই চলেছি। বুদ্ধিমান আর হওয়া হলোন।

আসলে কি সব সত্য বললাম।
একটু পরে খেতে যাব। রাতের খাবার । খেয়ে কি হবে। জানেন না কি হবে। অবশ্যই জানেন। আমিও জানি। তাহলে কি হবে কে পাত্তা দিতেই হয়। হা হা হা।

সেই জগা খিচুড়ি তে একটু আসি আবার। জগা খুঁজে খুঁজে অনেক কিছু নিয়ে একটা পোষ্ট মারতে চেয়েছিলাম । যদি তাতে জগার কিছু ধরন বোঝা যায়।

না হলোনা। ভাল জগা মিশলো না । হলো না ভাল খিচুড়ি। হয়তো অন্য কখনও হবে। আসলে হয়েও কি হবে?


সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৪১
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (দ্বিতীয় অংশ)

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৫


আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
আমাদের সদ্য খনন করা পুকুরটা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেল। যা মাছ সেখানে ছিল, আটকানোর সুযোগ রইল না। আমি আর দুইবোন শিউলি ও হ্যাপি জালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×